নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল):
রিপার বাইন্ডারের সাহায্যে ধান কর্তন ঃআগে শতাংশপ্রতি ১০ কেজি ধান নিয়েই কৃষক সন্তুষ্ট ছিলেন। ব্যয় বাড়ার কারণে এখন ৩ গুণ পেলেও আরো চাই। যদিও বীজ-সার হাতে মুঠোয়। তবে খরচের বড় অংশ চলে যায় শ্রমিকের হাতে। কোনো কারণে উৎপাদন কম হলে লোকসান গুনতে হয় তাদের।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার। এর মাধ্যমে সময়, অর্থ ও শ্রম হয় সাশ্রয়। গত ১৩ ডিসেম্বর বরগুনার আমতলী উপজেলার কৃষ্ণনগরে রিপার বাইন্ডারের সাহায্যে ধান কর্তন এর উপর কৃষক মাঠদিবসে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উপপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমার যেমন ভালো থাকা চাই। তেমনি অপরকেও একই অবস্থা বজায় রাখতে হবে। যে মাটি আমাদের ফসল দেয়, ওকে অবশ্যই প্রয়োজন সুরক্ষিত করা। তাহলেই কাক্সিক্ষত ফলন পাওয়া সম্ভব।
আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিমিট) সিসা-এমআই প্রকল্প আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাষি মনির উদ্দিন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম বদরুল আলম, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, সিমিট বাংলাদেশের হাব ম্যানেজার হীরা লাল নাথ, কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো.আতিকুজ্জামান, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন প্রমুখ।
সিমিট বাংলাদেশের উদ্যোগে চীন থেকে সদ্য আমদানিকৃত রিপার বাইন্ডার বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলে পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আঁটি বাধাসহ ৫ একর জমির ধান কাটা যাবে ৮ ঘন্টায়। মেশিন ভাড়া বাদে খরচ পড়বে মাত্র ১ হাজার টাকা। অথচ সমপরিমাণ জমিতে এ কাজের জন্য ৩০ জন শ্রমিকের ব্যয় হবে ১৫ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্যসহ শতাধিক কৃষাণ- কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।