কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ
ঝালকাঠি জেলায় এ বছর গত দশ বছরের উৎপাদনের রেকর্ড ভেঙ্গে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলায় এ বছর আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৫,৬৩৪ মে.টন চালের উৎপাদন বেশি হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমন মৌসুমে ৪৬,২৪৩ হেক্টরে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু চাষাবাদ করা হয়েছে ৪৭,২০০ হেক্টরে । এর মধ্যে ১১,০০০ হেক্টরে উচ্চ ফলনশীল জাত। ৪৭,২০০ হেক্টরের আবাদ থেকে ৮৫৯০৭ মে.টন চালের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। উৎপাদন হয়েছে ১,০১,৫৫০ মে.টন। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫,৬৪৩ মে.টন বেশি।
ঝালকাঠি জেলায় এখন চালের উদ্বৃত্ত জেলায় পরিণত হয়েছে। ঝালকাঠি জেলায় বার্ষিক চালের চাহিদা ১,২৬,৩৪৭ মে.টন। এ বছর আমন আবাদ থেকে ১,০১,৫৫০ মে.টন চাল উৎপাদনের পাশাপাশি আউশ ও বোরো মৌসুমে আরো ৬০,০০০ মে.টন চালের উৎপাদন হয়।
জেলায় আমন, বোরো ও আউশ তিন মৌসুমের আবাদ নিয়ে ১,৬১,৫৫০ মে.টন চাল পাওয়া যাবে। কৃষি বিভাগের এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী জেলায় চালের খাদ্য চাহিদা পুরণ করে কমপক্ষে ৩৫,০০০ মে.টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে।
জেলায় এ বছর আমন ধানের মধ্যে ব্রি-৪০, ৪১ বিনা-৮ ও ১০ জাতের ধানের ফলন সবচেয়ে ভাল হয়েছে এবং স্থানীয় জাতের মধ্যে লাল মোটা, সাদা মোটা, নাকুচি ও মৌলতা সহ সকল স্থানীয় জাতেরই ধানের ফলন ভাল হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সরকারি ভাবে প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে পুনর্বাসন সহায়তা, বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ, প্রদর্শনী চাষীদের লাভলীহুড কৃষক স্কুলের মাধ্যমে কৃষি সরঞ্জাম বিতরণ করায় আমনের বাম্পার ফলনে উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষকরা আগ্রহী হয়েছে। এছাড়াও চাষাবাদের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কৃষকদের মধ্যে পূর্বের ধ্যান-ধারণা পরিবর্তনের কারণেই উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল।
সূত্র: বাসস
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম