Site icon

ঈদের আনন্দ নেই কৃষকদের মনে, ধানের দাম কম!

ঈদের আনন্দ


শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট : ঈদের আনন্দ ঃ প্রতিবছর ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হয় গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা। আর এই ঈদের আমেজ ও চাঙ্গা অর্থনীতি থেকে বাদ পড়েনা বাগেরহাটের ৯ উপজেলা। কিন্তু এ বছর ধানের দাম কম তাই রমজান শেষ হতে চললেও জমেনি ঈদের বাজার। সাধারণ পরিবার গুলোতে নেই ঈদের আনন্দ । বোরো মৌসুমের শুরুতে চাষিরা বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও’র ঋণ ও মহাজনদের কাছ থেকে ধার-কর্য করে চাষাবাদ করেন। মৌসুম শেষে ফসল বিক্রি তারা ধার কর্য পরিশোধ করেন। কিন্তু এ বছর ধানের দাম কম থাকায় ও ফসলের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচের টাকাও ঘরে তুলতে চাষিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে এলাকার চাষিদের মধ্যে নেমে এসেছে চরম হতাশা। এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হলেও ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় চাষিদের ঈদের বাজারে নেই আগ্রহ। উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

কুরমনি গ্রামের কৃষক রেজাউল দাড়িয়া, আব্দুল মোমিন শেখ, ডুমুরিয়ার কাকন সর্দার, চৌদ্দহাজী গ্রামের আক্কেল আলী তালুকদার, পাটরপাড়া গ্রামের মুজিবর বিশ্বাস ও শ্যামপাড়া গ্রামের কালাম কাজীসহ অনেক চাষি চরম ক্ষোভ প্রকার করে জানান, বর্তমানে প্রতিমণ ধান সর্বোচ্চ পাঁচশত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের বাজারের জন্য কয়েক মণ ধান বিক্রি করলেও তা দিয়ে তেমন কিছু কেনা যায় না। তাই পরিবারের সদস্যদের জন্য এখনো তারা নতুন কাপড় কেনেননি।

চিতলমারী গার্মেন্ট ব্যবসায়ী অরূপ সাহা, মফিজ মোল্লা, শংকর কর্মকার, কাপড় ব্যবসায়ী টিটন সাহা, কমলেশ সাহা, সিট কাপড় ব্যবসায়ী দিপক সাহা, সনজিত হাজরাসহ ব্যবসায়ীরা জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তারা দেশি-বিদেশী পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। প্রতি বছর এমন সময় জমজমাট কেনাকাটা হলেও এ বছর ঈদের বাজার মোটেই জমেনি।
এ ব্যাপারে শেরে বাংলা ডিগ্রি কলেজে হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক প্রদীপ ম-ল জানান, বিগত বছর গুলোতে ঈদকে সামনে রেখে গ্রামীণ অর্থনীতি চাকা চাঙ্গা থাকলেও এ বছর কৃষি প্রধান চিতলমারীতে চাষিরা ফলসের দাম কম পাওয়ায় ঈদের বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

তবে চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এ বছর উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ২১ টি ব্লকে ২৯ হাজার ৮১৫ একর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় ও কোন প্রকার রোগ বালাই না হওয়ায় এবার প্রায় ৯০ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়েছে। এ উপজেলায় ৩০ হাজার কৃষক ধান চাষ করেছেন। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পেলে তাদের কোন অভাব-অনটন থাকার কথা নয়।

Exit mobile version