মোঃ নাজমুল ফেরদৌস
কাঁচা আম বছরব্যাপী সংরক্ষণ : ঘরে মাঝখান দিয়ে চলাফেরার জায়গা তার দুই পাশেই লম্বা করে দুটি টেবিল রয়েছে। টেবিলের উপর রাখা আছে প্রায় একশ রকমের আচার। যা সবটাই একটির থেকে আরেকটি আলাদা দেখতে, স্বাদে আর ঘ্রানে। লোকায়িত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এই আচার তৈরী করা হয়। গত ২০ ও ২১ মে কাঁচা আমের তৈরী আচারের মেলা অনুষ্ঠিত হয় মান্দার কালীগ্রামের শাহ্ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও জাদুঘরের মতিউর রহমান সভা কক্ষে। অংশগ্রহন করেছিলেন ঐ গ্রামের ৬৫ কৃষাণী নারী।
কয়েকদিন আগে পাঠাগারের আয়োজনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাঁচা আম সংরক্ষণ ও আচার তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারই ধারাবাকিতায় এই আচার তৈরির এবং প্রদর্শনীর মেলা। এতে গ্রামের সকলের মধ্যে দারুন সারা ফেলেছে।
প্রদর্শণী মেলায় স্থান পায় বিভিন্ন ধরনের আচার যেমন, আম রসুনের- রসুই ঘর, আম পেঁয়াজের – আম মঞ্জুরী, আম আচারের বেরেস্তা- গুড়ের আম, আমে পুদিনা পাতা- ঘাঁটি আম, বরই আমের আচার ইত্যাদি। এছাড়াও কাঁচা আমের জুস, হলুদ লবন পানিতে আম সংরক্ষণ, লবনের দ্রবনে কাঁচা আম সংরক্ষণ ইত্যাদি।
প্রধান অতিথি খন্দকার মুশফিকুর রহমান বলেন, এ রকম উদ্যোগ গ্রাম পর্যায়ে দেখা যায় না। এই রকম অনুষ্ঠান গুলি সাধারনত জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে হয়ে থাকে। এছাড়াও উপস্থিত অতিথি এ এফ এম গোলাম ফারুক হোসেন বলেন, দারুন উদ্যোগ। কয়েক দিন আগে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই মেলার অংশগ্রহন করা এবং অনেক পদের আচার তৈরী করা বিষয়টা সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। মেলা শেষে অংশগ্রহকারী সকলকে বারি-৪ জাতের আমের চারা দেওয়া হয়। মেলায় অংশগ্রহনকারী আফিরা, রজিফা, সোমা চক্রবর্তী, দীপ আক্সগুর, মিলি তলাপাত্র, সালমা, মৌসুমী চক্রবর্তী, জহুরা, দিপালী, হালিমা প্রমুখ উন্নত নতুন জাতের আম গাছের চারা পেয়ে তারা দারুন খুশি।
কাঁচা আমের আচার প্রদর্শণী মেলার আয়োজক এবং শাহ্ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর আলম শাহ্ বলেন, কৃষাণীদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি পদক্ষেপ। প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানের আয়োজনের করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করছি।
শাহ্ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও জাদুঘর,
কালীগ্রাম, মান্দা, নওগাঁ।