কৃষি উৎপাদন দ্বিগুন করতে আবাদি জমিকে চার ফসলি করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার- কৃষি সচিব

কৃষি উৎপাদন দ্বিগুন

কৃষি উৎপাদন দ্বিগুন

কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ
কৃষি উৎপাদন দ্বিগুন করতে আবাদি জমিকে চার ফসলি করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ফসলের উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হবে। বর্তমানে হেক্টরে উৎপাদন হয় ২ দশমিক ৬৬ মেট্রিক টন। যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ দশমিক ৩২ মেট্রিক টনে উন্নীত করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে তিন ফসলি জমিকে চার ফসলি করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি তথ্য সার্ভিসের কনফারেন্স রুমে ‘সাংবাদিকদের আধুনিক কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার’ শীর্ষক তিন দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিন্তু এ লক্ষ্য পূরণে বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কৃষক উৎপাদিত পণ্যে সঠিক দাম পাচ্ছে না এটা দ্বিবালকের মতো সত্য। উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না হলে কৃষি থাকবে না। কৃষক কম দামে পণ্য বিক্রি করেন অথচ বেশি দাম দিয়ে কেনেন। অনেক সময় দেখা যায় কৃষকদের পণ্য ধনীরা কিনে গুদামজাত করে। ফলে কৃষক লাভবান না হয়ে অন্য কেউ লাভবান হয়। যখন ঘরে ধান উঠে তখন ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করে কৃষক। পরবর্তীতে সে চাল কৃষক ৩০ টাকার পরিবর্তে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় কেনেন। বছরে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। জমি সংকটের কারণে দেশে চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্যতেল উৎপাদন হচ্ছে না। ভোজ্যতেল করতে হলে গম ও আলু উৎপাদন কমে যাবে।
কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে দাবি করে কৃষি সচিব বলেন, বিশ্বের সব জায়গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেই কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিনিয়তই জমি হারিয়ে যাচ্ছে। দেশে নদীভাঙ্গন বেড়েছে। এক সময় ১ কিলোমিটার ক্যাচমেন্ট নিয়ে যমুনা প্রবাহিত হয়েছে, সেই নদী এখন ১৪ কিলোমিটার ক্যাচমেন্ট নিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কৃষকের জমি বিলীন হচ্ছে। নদী খনন করা জরুরি।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের মতো কৃষি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের এআইপি (এগ্রিকালচারাল ইম্পরট্যান্ট পারসন) দেয়া হবে। কৃষি কাজ ও উৎপাদনে আগ্রহ বাড়াতে এই প্রণোদনা দেয়া হবে। সিআইপির (কমার্শিয়াল ইম্পরট্যান্ট পারসন) মতো এআইপিরাও ভিআইপি জোনে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এ ব্যাপারে নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।
এসময় তিনি আরও বলেন, কৃষিতে সুবিধা দিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। এটি পাস হলে কৃষক বিনা সুদে ঋণ পাবেন। তিনি কেবল ঋণের আসল ব্যাংককে পরিশোধ করবেন। সুদ দেবে সরকার। আমরা চাই লাভজনক ও নিরাপদ কৃষি। এনিয়ে কাজ চলছে। ঢাকার মার্কেট টার্গেট করে রাজধানীর আশপাশে নিরাপদ ফসলের মার্কেট গড়ে তোলা হবে।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ইউসুফ, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবুল কালাম আযাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক চন্ডী দাস কুন্ডু। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৩০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

Advisory Editor

Advisory Editor of http://www.krishisongbad.com/

Learn More →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *