এ কিউ রাসেল, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) :
ফুলের চারা রোপন ঃ টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির ৭ এপ্রিল রোববার দুপুরে ৫০শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রথম সভায় যোগদান করেন। এ সময়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ফুলের বাগানে নিজ হাতে একটি ফুলের চারা রোপন করেন।
এসময় টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডাক্তার শরীফ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় মীর রেজাউল হক ও মরিয়ম আক্তার মুক্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. আলীম আল রাজি, মেডিক্যাল অফিসার ডা. খায়রুল আলম, গোপালপুর থানার ওসি মো. হাসান আল মামুন, ধোপাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাই, হাদিরা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের তালুকদার, ঝাওয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার, আলমনগর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মোমেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার গিয়াস উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজীর সভাপতিত্বে সভায় ছোট মনির এমপি গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রথম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন। এসময় তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে গোপালপুর উপজেলার টিআর-কাবিখার কয়েক হাজার টন চাল, গম ও নগদ টাকা কারা কিভাবে আত্মসাৎ করেছেন তার হিসাব নেয়া হবে। যারা সরকারের এসব অনুদানে পেট মোটা করেছেন তাদের প্রতি হুশিয়ার উচ্চারণ করে এমপি বলেন, জনগণের পাওনা জনগণ পাবার জন্য মুখিয়ে আছে। চুরিচামারির দিন এখন শেষ।’
এমপি ছোট মনির আরো বলেন, দেশরতœ শেখ হাসিনা সরকার দেশকে দুর্নীতিমুক্ত ও উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মাণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একটি উপজেলায় প্রতি বছর বিপুল পরিমান বাজেট আসে। কিন্তু গোপালপুরে সে বাজেটের টাকা ও অন্যান্য বরাদ্দ অতীতে ঠিক মতো বন্টন বা উপযুক্ত কাজে ব্যবহার করা হয় নাই। এখন থেকে সরকারি বরাদ্দের টাকা আর নয়ছয় করতে দেয়া হবেনা। প্রতিটা পয়সা জনগনের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। কোন দুর্নীতিবাজকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হবেনা।
তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে অনুদান প্রদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. আলীম আল রাজি এমপি ছোট মনিরকে হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা অবহিত করেন।
স্টাফ সঙ্কট, সরঞ্জামের অভাব, বহিরাগতদের উপদ্রব, আবাসিক সমস্যাসহ একাধিক বিষয়ে দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে ছোট মনির এমপি বলেন, একদিনে সব সমস্যার সমাধান যাবে না। পর্যায়ক্রমে হাসপাতালতে সব রকম সমস্যার সমাধান করে গোপালপুর হাসপাতাল একটি মডেল হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হবে।
তিনি বলেন, মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। মানুষের জন্য কাজ করতে চান তিনি। দুর্নীতির উৎস বন্ধ করতে চান।
মিটিং চলাকালে তিনি একযুগ ধরে গোপালপুর হাসপাতালে পোস্টিং পাওয়া দুই মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবন্তি কর ও ডা. সুদীপ্ত ঘোষের হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকা এবং ঢাকায় একটি হাসপাতালে চাকরি করার তথ্য পেয়ে বিস্মিত হন। ওই দুই ডাক্তার ঢাকায় প্রেষণে থেকে গোপালপুর হাসপাতাল থেকে দীর্ঘ দিন ধরে বেতন ভাতা নিচ্ছেন।
পরে মিটিং থেকে এমপি ছোট মনির ওই দুই চিকিৎসককে সরাসরি ফোন করেন। তিনি তাদেরকে এক সপ্তাহ সময় দিয়ে গোপালপুর হাসপাতালে যোগদান নতুবা এখান থেকে রিলিজ লেটার নিয়ে বদলী হয়ে যাবার নির্দেশ দেন।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডাক্তার শরীফ হোসেন খান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় মীর রেজাউল হক ও মরিয়ম আক্তার মুক্তা, গোপালপুর থানার ওসি মো. হাসান আল মামুন, ধোপাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাই, হাদিরা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের তালুকদার, ঝাওয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার, আলমনগর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মোমেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার গিয়াস উদ্দীন, সহ-সভাপতি আব্দুল জব্বারসহ হাসপাতালের সকল চিকিৎসক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।