গ্রামীণ নারী দক্ষতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
গ্রামীণ নারী দক্ষতা : দারিদ্র দূরীকরণ ও গ্রামীণ নারী সমাজের আত্মকর্ম সংস্থান সৃষ্টির লক্ষে উত্তরের জনপদ জয়পুরহাটে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগী সংস্থা জাকস ফাউন্ডেশন। নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন ধরণের ঋণ কার্যকরমের পাশাপাশি গ্রামীণ নারী দক্ষতা উন্নয়নে পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিরিঞ্চি( অনন্তপুর) গ্রামে ২৫ ই ও ২৬ ই ফেব্রুয়ারী দুই দিন ব্যাপী ৩য় বারের মত “ টার্কি পালন প্রযক্তি” শীর্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
উক্ত প্রশিক্ষণে সঠিক জীব নিরাপত্তায় বিজ্ঞান সম্মত ভাবে টার্কি পালন, টার্কির রোগবালাই, রোগ প্রতিরোধে টিকা প্রদানের নিয়ম, খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যসম্মত টার্কির মাংস উৎপাদনের উপর অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণে ২৫ জন নারী সদস্য অংশ গ্রহন করেন। প্রশিক্ষণার্থী মধ্য থেকে রহিমা জানান” তাদের গ্রামের কোন নারীই সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ের পশু-পাখি পালন অথবা কৃষির কোন ধরণের প্রশিক্ষণ পাননি, এবারই প্রথম।“ জাকস ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম পরিচালক, কৃষিবিদ মোঃ ওবাইদুল ইসলাম জানান “ এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর এবং পরিশ্রমী কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহারে বেশ পিছিয়ে, তাই এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সুবিদধা বঞ্চিত মানুষ গুলিকে দক্ষ করে গড়ে তোলার প্রয়াসে তাদের দোরগোড়ায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করে আসছি” প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ডাঃ মোঃ মামুনুর রশীদ, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর, জয়পুরহাট; ডাঃ মোঃ হাসান আলী, ভেটেরিনারি সার্জন, পাঁচবিবি; ডাঃ মোছাঃ ফায়জা খাতুন, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, হাকিমপুর; দিনাজপুর ডাঃ মোঃ সাদাকাতুল বারী, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, কালাই, জয়পুরহাট, ডাঃ মোঃ হাবিবুল্লাহ বেলালী, কারগরি কর্মকর্তা এস কে এফ ফার্মাসিউটিকাল প্রশিক্ষণটি উদ্বোধন করে ডাঃ মোঃ জহুর আলী, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, মৎস ও প্রাণিসম্পদ ইউনিট জাকস ফান্ডেশন এবং শাখা ব্যবস্থাপক অসীম কুমার, ধলাহার-০২ শাখা, জাকস ফান্ডেশন।
প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন ডাঃ মোঃ মুনিরুজ্জামান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাকস ফান্ডেশন,লিফট কর্মসূচি (টার্কি), তিনি জানান প্রাণিজ আমিষে টার্কি ব্যপক সম্ভাবনাময় একটি গৃহপালিত পাখি, দানাদার খাবারের পাশাপাশি ঘাস ও লতাপাতা খাইয়ে পালন করা যায় বলে এর উৎপাদন খরচ কম, তাছাড়া এর বৃদ্ধির হারও বেশি। তাই অল্প খরচে অধিক আয় ও আমিষের চাহিদা পূরণে টার্কি পালনই অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।