কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ
১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) এর জন্মকাল ১৯৪৫ সন থেকে ১৬ অক্টোবরকে স্মরণ করে প্রতিবছর বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করছে। বিশ্বের সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সচেতনতার মাধ্যমে সবাইকে ঐক্য করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো সমূহ প্রতিবছর বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করে। বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্যমন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান র্যালি, মেলা, আলোচনাসভা, ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড, রেডিও, টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার ও পত্র-পত্রিকায় ক্রোড়পত্র ও প্রবন্ধ প্রকাশ করে। এবারের প্রতিবাদ্য বিষয় হচ্ছেÑ “Climate is changing, food and agriculture are too” অর্থাৎ “বদলে যাচ্ছে জলবায়ু, বদলাচ্ছে খাদ্য ও কৃষি।”এই প্রতিপাদ্যের উদ্দেশ্যে হচ্ছেÑ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি পণ্য উৎপাদন বদলাচ্ছে এবং সেই সাথে মানুষের খাদ্যও পরিবর্তন হচ্ছে। যেমন- এখন কোন কোন শাকসবজি ও ফল সারা বছর পাওয়া যায়। কোন কোন খাদ্য মৌসুমেও পাওয়া যায় না। আবার কোন কোন খাদ্য অমৌসুমেও পাওয়া যায়। জলবায়ুর উপর কৃষিপণ্য উৎপাদন নির্ভরশীল। জলবায়ুর উপাদন, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি পরিবর্তন হওয়ায় ফসল উৎপাদনও পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে মানুষের খাদ্যাভ্যাস বদলাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ সম্ভব নয়, তবে কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মোকাবেলা করা যায়।
জলবায়ু পরিবর্তন হওয়ায় দেশে ফসল, পশু, হাঁস-মুরগি ও মাছ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে খাদ্য সঙ্কট বাড়ছে। দেশে ১.৪১% হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ১% হারে আবাদি জমি হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কৃষির জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। ভৌগলিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এ দেশে কৃষি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অথচ ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টর। বিশ্ব জলবায়ু সংক্রান্ত ঝুঁকি ২০০৬ এর মূল্যায়নে ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রতি বছর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাত, সূর্যালোক, পরিবর্তন হওয়ায় ঝড়, বৃষ্টি, সাইক্লোন জলোচ্ছাস, বন্যা, খরাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগও কম-বেশি হচ্ছে। ফলে ফসল, পশুপাখি ও মাছ নতুন আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওয়াতে পারছে না।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হচ্ছে- গ্রীনহাউস গ্যাস ও অন্যান্য পরিবেশ দূষণ। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা সম্পূর্ণ প্রতিহত করতে না পারলেও বিভিন্ন প্রযুক্তি ও কৌশল অবলম্বন করে পরিবর্তিত জলবায়ুতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষণ
জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষণগুলো হলো- বর্ষায় বৃষ্টি কম হওয়া, অসময়ে প্রচুর বৃষ্টি, শীত বিলম্বে শুরু ও শেষ, শীতের প্রকোপ কম, শীতকালের দৈর্ঘ্য হ্রাস, ঘন কুয়াশা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া, আগাম বন্যা হওয়া, ভ্যাপসা গরম পড়া, তাপদাহ, শৈত্য প্রবাহ, অনাকাঙ্খিত গরম, শীতে বৃষ্টিপাত, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়া, নদীতে নাব্যতা হ্রাস ইত্যাদি। বিশ্বব্যাংকের ২০০১ সনের প্রতিবেদন অনুযায়ী তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে বরফ গলে যাওয়ায় বঙ্গোপসাগরের উচ্চতা বছরে ৩ মিলিমিটার হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমুদ্র পৃষ্ঠের ১ মিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাবে যা বাংলাদেশের মোট আয়তনের ১৫.৮ শতাংশ। এতে ২২৮৮৯ বর্গ কি.মি. কৃষি জমি তলিয়ে যাবে। ধানের উৎপাদন কমবে প্রায় ৩০ শতাংশ। সুন্দরবন বিলীন হয়ে যাবে।
ক্ষতিকর প্রভাব
জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষিতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে এবং ভবিষ্যতে মারাত্মক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে। বীজের অঙ্কুরোদগম, গাছের দৈহিক বৃদ্ধি, পরাগায়ন, ফুল ধরা, ফল ধরা ও ফসল পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত ও সূর্যালোক প্রয়োজন। এর হেরফের হলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়। জলবায়ুর এ উপাদানগুলোর পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু বীজ বপন ও চারা রোপনের সময় পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। কৃষি মৌসুমের সঙ্গে ফসল চাষাবাদ খাপ খাওয়ানো যাচ্ছে না। গমের বপন কাল ১৫-৩০ নভেম্বর। বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য উপযোগী তাপমাত্রা হলো ১৫-২০ ডিগ্রি সে. এবং পরাগায়নের জন্য ৩০ ডিগ্রি সে. এর নিচে। এর কমবেশি হলে গমের উৎপাদন কমে যায়। পরিপক্ক পর্যায়ে আর্দ্রতা ও কুয়াশা বেশি থাকলে ব্ল্যাক পয়েন্ট রোগ হয়। জলবায়ুর এসব পরিবর্তনের কারণে গমের আবাদের পরিমাণ ১৯৯৮-৯৯ সনে ৮.৮২ লাখ হেক্টর থেকে হ্রাস পেয়ে ২০০৭-০৮ সনে কমে ৩.৭০ লাখ হেক্টর হয়েছে। অপরদিকে অধিকতর তাপ সহনশীল ফসল ভুট্টার আবাদ একই সময়ে ০.১৮ লাখ হেক্টর থেকে বেড়ে ৩.৮২ লাখ হেক্টর হয়েছে। ছোলা, মসুর, মুগসহ বিভিন্ন ডালে পরাগায়নের সময় সম্প্রতি তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও কুয়াশা বেশি থাকে বলে ফলন কম হয়। এজন্য এসব ফসল কৃষকরা চাষ করা ছেড়ে দিচ্ছে। বোরো ধানের ফুল আসা পর্যায়ে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সে. এর বেশি থাকলে ধানে চিটা হয়। দানা গঠনের সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ফলন কম হয়। আমন ধানে দিনের দৈর্ঘ্য ১২ ঘন্টার কম হতে হবে। তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সে. এর কম হলে আমন ধানের ফলন কম হয়। খরার কারণে বোনা আউশ শতকরা ৪০ ভাগ এবং আমন ও রবি শস্যের অবস্থাভেদে ১৫-৬০ ভাগ ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ দেশে প্রায় আট হাজার প্রজাতির ধান উৎপাদিত হতো। এসব জাত বিলুপ্ত হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য। আলুসহ অন্যান্য ফসলের জাতও বিলুপ্ত হতে পারে। আলু গাছের বাড়ন্ত পর্যায়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, কুয়াশা, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে, আর্দ্রতা ৮০% বেশি হলে আরলি ব্লাইট ও লেইট ব্লাইট রোগে আলুগাছ মারা যায়। পাটের বীজ বপনের পরপরই তাপমাত্রা বেড়ে েেগলে পাটের ফলন কম হয়। বাংলাদেশের পরিবেশের ওপর প্রকাশিত টাস্কফোর্স রিপোর্ট থেকে জানা যায়- সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২০৫০ সাল পর্যন্ত এক মিটার বাড়তে পারে। এতে ৩ হাজার মিলিয়ন হেক্টর উর্বর জমি পানিতে তলিয়ে যাবে এবং ২০০ মিলিয়ন টন ধান, গম, আখ, পাট, ডালসহ রবিশস্য উৎপাদন কমে যাবে। মাছের প্রজাতি ২০ শতাংশ বিলুপ্ত হবে। হঠাৎ তাপমাত্রা উঠানামা করলে হাঁস-মুরগির ডিম উৎপাদন কমে যায়।
গত বছরও বোর চারা রোপনের শেষ সময় ছিল ফেব্র“য়ারীর প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। বৈরী জলবায়ুর জন্য এবার চারা রোপন এক মাস পিছিয়ে গেছে। ৩৫-৪০ দিন বয়সে বোর চারা রোপনে ৭০-৮০ দিন পর থোড় আসার কথা। বৈরী জলবায়ুর জন্য গত বছর ৫০-৬০ দিন পরই থোড় এসেছিল। এবারও তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য আগাম থোড় ধরার সম্ভাবনা আছে। গত বছর খড়ার জন্য আমনের ফলন লক্ষ মাত্রার চেয়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন কম হয়েছে। গাছে প্রচুর আমের মুকুল ধরলেও দিনে তাপমাত্রা বেশি রাতে কম হওয়ায় এবার আমের ফলন কম হওয়ার আশংকা রয়েছে। গত বছর বিগত বছরের চেয়ে মাছের প্রজননের সময় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মাছের ডিম মাছের পেটে শুকিয়ে প্রজনন ব্যহত হয়েছে। ফলে অনেক মাছের র্জাম বিলুপ্ত হয়েছে। পানির তাপমাত্রা ২৯-৩০ ডিঃ সেঃ হলে প্রজনন করতে পারে না। হালদা নদীতে তাপমাত্রা ২৬-৩০ ডিগ্রি হলে রুই ডিম ছাড়ে। তাপমাত্রা বাড়ায় ডিমের বাড়ায় ডিমের উৎপাদন ৩ হাজার কেজি থেকে কমে মাত্র ২০ কেজিতে দাঁডিয়েছে।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট এর রির্পোটে বলা হয়েছে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার জন্যে ১৯৭৩- ২০০০ সন পর্যন্ত দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১৭ লাখ হেক্টর জমি নতুন করে লবণাক্ত হয়েছে, যা মোট জমির শতকরা ২০.৪ ভাগ। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে প্রতি বছর ৩০ – ৪০ লাখ হেক্টর জমি খরায় আক্রান্ত হয়। খরার কারণে ফসল, পশু, হাঁস-মুরগি ও মাছের উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। আকস্মিক বন্যায় দেশের উত্তর – পূর্বাঞ্চলের প্রায় ৪ হাজার বর্গ কিঃমিঃ ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের প্রায় ১ হাজার ৪০০ বর্গ কিঃমিঃ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৈরী জলবায়ুর প্রধান কারণ হচ্ছে বাতাসে কার্বনডাইঅক্সাইড বৃদ্ধি। বাতাসে কার্বনডাইঅক্সাইড বাড়লে ধান গাছ নাইট্রোজেন কম গ্রহণ করে, লৌহ ও দস্তার ঘাটতি হয় এবং দানায় আমিষের পরিমাণ কমে। এছাড়াও আগাছা, রোগ ও পোকাড় আক্রমন বাড়ে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমান কমে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের আই ইউসিএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে – বৈরী জলবায়ুর কারনে বাংলাদেশে ৭০৮ প্রজাতির মাছের মধ্যে ৫৪টি বিলুপ্ত হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে কৃষি উৎপাদন ৩০ ভাগ কমে যাবে। ৬৩২ প্রজাতির পাখির মধ্যে ১২ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে ও ৩০ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। ২২ প্রজাতি উভচর প্রাণির মধ্যে ৮টি, ১২৬ সরীসৃপ প্রজাতির মধ্যে ১৪টি বিলুপ্তির পথে। ১২০টি স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে ১৩টি বিপন্ন আর ২২টি বিলুপ্তির পথে। ১১০টি পশুর প্রজাতির মধ্যে ৪০টি বিলুপ্ত। ৫ হাজার প্রজাতির গাছের মধ্যে ১০৬টির অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন।
কারণ
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হচ্ছে- জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ন, সিএফসি নির্গমন গ্যাসের যন্ত্রাদি ব্যবহার, বর্জ্য, খনি, বায়ু দূষণকারী গ্যাসের মোটর ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার, রাসায়নিক সার, কীটনাশকের ব্যবহার, শিল্প কল-কারখানা বৃদ্ধি, ইটের ভাটা ইত্যাদি। জাতিসংঘ মানব উন্নয়ন সূচক অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র ৪৪ শতাংশ, জাপান ১৩ শতাংশ, জার্মানি ৭ শতাংশ, যুক্তরাজ্য ৫ শতাংশ, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়া ৩ শতাংশ করে। পরিবেশ দূষণই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ।
করণীয়/প্রযুক্তি ঃ
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তবে পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর কৌশল অবলম্বন করতে হবে। পরিবর্তিত জলবায়ুতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে প্রস্তাবগুলো হলো (১) ফসলের জাত নির্বাচন করা যেমন- আগাম আউশের চাষাবাদ করা, বিআর২, বিআর১৪, বিআর২৬, ব্রিধান২৭ চাষ করা। লবণাক্ততা সহনশীল ব্রিধান৪০, ব্রিধান৪১ ও ব্রিধান৪৭ চাষ করা। মঙ্গা এলাকায় ব্রিধান৩৩ ও বিনাধান৭ চাষ করা। বন্যা পরবর্তী ধানের জাত বিআর২২, বিআর২৩ ও বিনাশাইল চাষ করা। ঠান্ডা সহিষ্ণু ব্রিধান৩৬ চাষ করা। (২) খরাসহিষ্ণু, তাপসহিষ্ণু, ঠান্ডা সহিষ্ণু, বন্যা সহিষ্ণু, আলোক দৈর্ঘ্য সহিষ্ণু, আর্দ্রতা সহিষ্ণু ধানসহ বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবন করা। (৩) জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ে শস্য বিন্যাস ও শস্য পর্যায় অবলম্বন করা। (৪) সেচ প্রদানের জন্য উপযোগী প্রযুক্তি প্রয়োগ করা। (৫) আরো রোগ বালাই সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন করা। (৬) জলবায়ু ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস কৃষকের কাছে দ্রুত পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা। (৭) কৃষিতে তথ্য প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট ও বায়োটেকনোলজির ব্যবহার করা। (৮) গ্রীন হাউস খামার তৈরি করা। যেখানে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, সূর্যালোক নিয়ন্ত্রিত থাকবে। (৯) শস্য বীমা চালু করা। (১০) অঞ্চল ভিত্তিক শস্য চাষ। (১১) রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে অর্গানিক কৃষি উৎপাদন প্রবর্তন করা। (১২) সার্জন পদ্ধতিতে সারা বছর ফল ও শাকসবজি চাষ (১৩) প্রতি ইঞ্চি ভূমি কৃষি উৎপাদনে কাজে লাগানো (১৪) আন্তফসল চাষাবাদ করা (১৫) সাথী ফসল, মুড়ি ফসল, রিলে ফসল ও মিশ্র ফসলের চাষাবাদ করা (১৬) কৃষি বনায়ন করা (১৭) জলমগ্ন/হাওর এলাকায় পানিতে ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা (১৮) কৃষিতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা।
জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষিক্ষেত্রে উদ্ভুত ঝুঁকির প্রকৃতি ও সম্ভাব্য করণীয় বা অভিযোজন কৌশল সরকারের অনুসৃত সঠিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মডেল ও দুর্যোগ হ্রাস প্রক্রিয়া সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত
কৃষি প্রাবন্ধিক ও কৃষি সাংবাদিক
সহকারী অধ্যাপক, শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ
ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল।
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম