Site icon

দানাশস্যে সফলতাঃ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কাতারে বাংলাদেশ

 

নাহিদ বিন রফিক, বরিশাল থেকে:

দানাশস্যে আমরা উদ্বৃত্ত দেশের কাতারে। এখন চলছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কাজ। দেশের জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি ফসলি জমি কমছে প্রতিদিন। তাই অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন অধিক উৎপাদন। হাইব্রীড বীজ ব্যবহারের মাধ্যমেই তা সম্ভব। ১২ মার্চ নগরীর সাগরদিস্থ ব্রি’র সম্মেলনকক্ষে দিনব্যাপি এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির (এসসিএ) পরিচালক মো. খায়রুল বাশার এসব কথা বলেন।

আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার নির্মল কুমার দে’র সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ। এসসিএ আয়োজিত ‘হাইব্রীড ট্রায়াল মূল্যায়ন কার্যক্রম জোরদারকরণ’ শীর্ষক এ সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই বরগুনার উপপরিচালক মো. সাইনুর আজম খান, বরিশালের উপপরিচালক হরিদাস শিকারী, পটুয়াখালীর উপপরিচালক হৃদশে^র দত্ত, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) যুগ্ম পরিচালক ড. একেএম মিজানুর রহমান, গাজীপুরস্থ এসসিএ’র উপপরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে হাইব্রীড বীজ প্রত্যয়নের ক্ষেত্রে সুপারিশমালাসহ বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সমাধান বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে বীজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হাইব্রীড বীজ ছাড়করণের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। এদেশে প্রথমে ৪ টি জাতের অনুমোদন দেয়া হয় ১৯৯৮ সালে। বর্তমানে বিভিন্ন ফসলের হাইব্রীডের জাতের সংখ্যা ১ শ’ ৬৩। অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি তথ্য সার্ভিস, এসআরডিআই, বিনা, এটিআইসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

Exit mobile version