মোঃ রাসেল ইসলাম
দিনাজপুর প্রতিনিধি
খাদ্য শষ্যের ভান্ডার হিসেবে
এবার মৈসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই উৎপাদন খরচ (সার, তেল,বিষ, মুজুরী) বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের তার নিজেস্ব পুজি হারিয়ে যেতে বসেছে। উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে তারা লাভবান হতে পারছেনা। একদিকে মিলারিরা লোকসানের আশংখ্যায় ধীর গতিতে ধান কিনছে। এই কারণে কৃষকের পড়েছে কিছুটা বিপাকে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ১৩ টি উপজেলায় ২ লক্ষ্য ৫৩ হাজার ৯শ ৬৩ হেক্টোর জমিতে গত আমন ধানের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এবার লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও ২ হাজার ৫৮৪ হেক্টোর অতিরিক্ত জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়।
এদিকে আমন ধান শেষ না হতেই বোর ধান রোপণ করার জন্য ব্যস্ত দিন কাটছে কৃষকের। বিভিন্ন উপজেলায় সরেজমিনে গেলে দেখা যায় জমি চাষ থেকে শুরু করে বীজ রোপন পর্যন্ত সারাদিন কাটাচ্ছেন ধান রোপন কারী শ্রমিকরা। সারাদিন কাজ করে ভাল আয় করছে তারা। এদিকে বোচাগঞ্চ উপজেলার ৫ নং ইউনিয়নের বনহোড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান জানান, আমন ধানের দাম নায্য মুল্য না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন। এই কারণে বোরো ধান চাষে অনেকে অনীহা প্রকাশ করছে সাধারণ কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এবারের বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ টি উপজেলায় ১ লক্ষ্য ৭৩ হাজার ৬শ ৫১ হেক্টোর।
এদিকে ধানের দাম হওয়ায় বিকল্প হিসেবে অনেকে গম, আলু, ভুট্টা এবং আঁখ উৎপাদনের দিকে ঝুকছে। এই অবস্থা আরো বেশি চলতে থাকলে ধান উৎপাদনে শীর্ষে থাকা এই দিনাজপুরের অবস্থান অনেক নিচে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। এমত অবস্থায় সরকারের বিশেষ মহলকে এই দিকে দৃষ্টি রাখার পরামর্শও দেন তারা।
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম