দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, কৃষিবিদ ও কৃষিবিজ্ঞানীগণ তাদের মেধা, মনন ও উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে কৃষির আরো উন্নয়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখবেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরই কৃষির উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। তিনি কৃষি ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণসহ ১৯৭৩ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করেন। এর ফলশ্রুতিতে কৃষিবিদরা যেমন সম্মানিত হয়েছেন তেমনি দেশে কৃষিরও ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। দেশ আজ খাদ্য উত্পাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। সেই সাথে স্বল্প পরিসরে খাদ্য রপ্তানির অগ্রগতিও অর্জিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার দেয়া বাণীতে বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতিতে নানাবিধ ঝুঁকির মধ্যে কৃষকের ভাগ্যোন্নয়ন তথা কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে কর্মক্ষেত্রে কৃষিবিদগণকে আরো আন্তরিক ও সক্রিয় হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও কৃষি জমির ক্রমহ্রাসমান পরিস্থিতিতে কৃষির নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্বাধীনতাপূর্বের তুলনায় প্রায় তিনগুণ খাদ্যশস্য, মাছ, দুধ, মাংস ও ডিম উত্পাদন বৃদ্ধি করে প্রায় ১৬ কোটি জনগোষ্ঠীর খাদ্যচাহিদা পূরণে কৃষিবিদগণের অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। উল্লেখ্য, সারা দেশে কৃষিবিদ ইনষ্টিটিউশন ও কৃষি প্রতিষ্ঠান গুলো র্যালি আনন্দ, শোভা যাত্রা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে।
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম