কৃষিসংবাদ ডেস্কঃ
জানা গেছে, দেশের বাইরে ইউরোপের বাজারেও রফতানি হয় এ বাজারের কৃষিপণ্য। এ জনপদে এখনও বাসিন্দাদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নৌকা। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বৈঠাকাটা নামের উত্পত্তি নৌকার বৈঠা থেকে। নৌকার উপস্থিতি এ বিলাঞ্চলের অধিবাসীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে একাধিক ছোট বড় নৌকা। বৈঠাকাটা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল গফুর জানান, ১৯৫৪ সালে এ বাজারের সূচনা। ভাসমান হাটের প্রসার আরও দিনে দিনে বেড়ে চলছে। সকাল আটটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জমজমাট থাকে ভাসমান বাজার। হাটের দিন কোটি টাকার শাক সবজি বেচাকেনা হয় এখানে। পার্শ্ববর্তী বিল ডুমুরিয়া গ্রামের সবজি চাষি শাহাবুদ্দিন বাহাদুর ইত্তেফাককে বলেন, নৌকায় করে বাবার সঙ্গে বৈঠাকাটা বাজারে আসতেন। বেচাকেনা তখনও নৌকায় যেমনটি ছিল আজও তেমন রয়েছে। এখন আকার আগের চেয়ে বেড়েছে। কলারদোয়ানিয়ার রফিক জানান, এ বাজার থেকে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, আলু, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, নানা জাতের শাক, মরমা (শসা বিশেষ), শিম, লাউ, করল্লা ইত্যাদি পিরোজপুর, পাড়েরহাট, ভান্ডারিয়া, কাউখালীসহ বিভিন্ন বাজারে নৌকায় নিয়ে যান তার মত অনেক পাইকারি ব্যবসায়ী। ধাপে উত্পাদিত শাক সবজির চারাও বিকিকিনি হয় এখানে মৌসুমে। শীত মৌসুমে বিক্রি হচ্ছে নানা জাতের ফুলের চারাও। আরও আছে ধইঞ্চা, পাটখড়ি, কচুরিপানার ধাপ, কুটিপানা, শ্যাওলা, দুলালী লতাসহ ভাসমান শাক সবজি চাষের নানা উপকরণ। ইত্তেফাক।।