আলী আহাম্মদ, রাজাপুর,ঝালকাঠিঃ
উত্তর: ক্ষেতে ডাল বা কঞ্চি পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা। হাত জাল দিয়ে মাজরা পোকা মেয়ে ফেলা। ধান কাটার পর নাড়া পুড়ে ফেলা। পরজীবি পোকারা প্রায় ৮০% পোকার ডিম নষ্ট করে, তাই পরজীবি (বোলতা) সংরক্ষণ করা। আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে মথ ধ্বংস করা। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পুরুষ মথ ধরে নষ্ট করা। প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত ব্যবহার করা যেমনঃ বিআর-১০, বি-আর-১১, বিআর-২২ ইত্যাদি। মেহগনির বীজ পানিতে ভিজিয়ে রেখে কষ বের হয় তাহা ৬/৭ গুণ পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। প্রতি বর্গমিটার গড়ে ২-৩ টি স্ত্রী মথ বা ডিমের গাড়া, অথবা শতকরা ১০ টি মরাডিগ বা ৫ টি সাদা শীষ হলে অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করা। হেক্টর প্রতি কার্বোফুরান ৫জি (ফরাটাফ/ফরাডান) ১০ কেজি, কার্বোসালফান (মার্শাল) ১.১৫ লিঃ কারটাপ (সুমিটাপ) ১.২০ লিঃ, বাসুডিন ১০জি ১৬.৮ কেজি, ডায়াজিনন ১.৬০ লিঃ, ফেনিট্রোথিষন (সুমিথিয়ন) ১.১২ লিঃ, ফেনথয়েট (ক্যাপ) ১.৭০ লিঃ যে কোন একটি বালাইনাশক ব্যবহার করা।
প্রশ্ন: ধানের বাদামী গাছ ফড়িং দমনের উপায় কি?
সুমিত কুমার,নান্দাইল, ময়মনসিংহ
উত্তর: ধানের বাদামী গাছ ফড়িং এর আক্রমণে পূর্ণ বয়স্ক ও নিস্ফ উভয়ই গাছের গোড়ার দিকে থাকে এবং গাছের রস খেয়ে ক্ষতি করে ফলে পাতা শুকিয়ে খড়ের রং ধারণ করে।এই পোকার আক্রমণ থেকে ফসলকে রক্ষার জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত ব্যবহার করা। জমির পানি সরিয়ে দেয়া। অতিমাত্রায় ইউরিয়া ব্যবহার পরিহার করা। আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা। ধানের চারা দুরে দুরে লাগানো (২৫ সেঃমিঃী২০ সেঃমিঃ)। ক্ষেতে মাকড়সা সংরক্ষণ করা। আক্রান্ত ক্ষেতে ধান কাটার পর পুড়ে ফেলা। এছাড়া মিপসিন, সপসিন, বাছা, কার্বোসালফান (মার্শাল), ফেনিট্রোথিয়ন (সুমিথিয়ন), ক্যাপ, একতারা ইত্যাদি যে কোন একটি বালাইনাশক শুধুমাত্র আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করা।
প্রশ্ন: ধানের পাতা মোড়ানো পোকা দমনের উপায় কি?
আব্দুর রহমান, একেশ্বরা, রাজাপুর
উত্তর: ধান ক্ষেতে পাতা মোড়ানো পোকা আক্রমণ করলে কীড়া ধানের পাতা লম্বালম্বিভাবে মুড়িয়ে ফেলে এবং পাতার সবুজ অংশ খায়। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা। আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে নষ্ট করা। পরজীবি পোকার বংশ বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি করে কীড়া ধ্বংস করা। শতকরা ১৫ ভাগ পাতার ক্ষতি হলে অনুমোদিত যে কোন একটি বালাইনাশক ব্যবহার করা যথা ঃ হেক্টর প্রতি ম্যালাথিয়ন ১.১২ লিঃ, সুমিথিয়ন ১.০ লিঃ, হাইমেথোয়েট (টাফগার) ১.১২ লিঃ, ডায়াজিনন ১.৭০ লিঃ, কারবারিল (সেভিন) ১.৭০ কেজি।