Site icon

নকলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্ডধারী মৃত ব্যক্তির পরিবর্তে নতুন কার্ড বিতরণ

'নকলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী

নকলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী

মো. মোশারফ হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি:

‘নকলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী ঃ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় শেরপুরের নকলা উপজেলায় খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় কার্ডধারী মৃতব্যক্তির পরিবর্তে নতুন সুবিধাভোগিদের মাঝে কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

১৭ নভেম্বর রোববার সকালে বানেশ্বরদী ইউনিয়নের কার্ডধারী মৃতব্যক্তির পরিবর্তে ৪৪ জন হতদরিদ্রের মাঝে নতুন করে কার্ড বিতরণ করা হয়। এসময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. লুৎফর রহমান, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো. সাইদুজ্জামান, তদারককারী কর্মকর্তা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী হাফিজুর রহমান, বানেশ্বরদীর এলাকার পরিবেশক মাফিজুল হকসহ স্থানীয় গন্যমান্য ও সুবিধাভোগী অর্ধশত হতদরিদ্র নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশক মাফিজুল হক জানান, বানেশ্বরদী ইউনিয়নে ৮৯৮ হতদরিদ্র পরিবার এই সুবিধা ভোগ করছে। তারমধ্যে তার দোকানের আওতায় রয়েরেছ ৪৫৫ জন এবং বাউসা এলাকার পরিবেশক আক্তারুজ্জামানের দোকানের আওতায় রয়েছে ৪৪৩ জন। এর মধ্যে যে বা যারা মারা গেছেন বা অন্যত্র চলে গেছেন, তাদের পরিবর্তে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাজহারুল আনোয়ার মহব্বতের দেওয়া তথ্য ও তালিকা মোতাবেক নতুন করে সুবিধাভোগি নির্বাচন করে তাদের মাঝে কার্ড বিতরণ করা হয়। নতুন কার্ডধারীদের মধ্যে মাফিজুল হকের আওতায় ১৭ জন এবং আক্তারুজ্জামানের আওতায় ২৭ জন। মাফিজুল হক বলেন, আমার দোকানের আওতায় ৪৫৫ জনের মাঝে চলতি মাসের ১১ তারিখে ১৭০ জন, ১৩ তারিখে ২০৪ জনের মাঝে চাল বিক্রি শেষ হয়েছে। বাকি ৮১ হতদরিদ্রের মাঝে স্বল্প মূল্যে চাল বিক্রি করার লক্ষ্যে ১৭ নভেম্বর রোববার সকাল থেকে ১০ টাকা কেজি ধরে চাল বিক্রি শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আজ-কালের মধ্যেই কার্ডধারী সকলের মাঝে বছরের শেষ ধাপের স্বল্প মূল্যের চাল বিতরণ কাজ শেষ হবে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. লুৎফর রহমান জানান, সারাদেশে অন্তত ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়েছে। বছরে ৫ মাস করে প্রতি মাসে প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে প্রতি পরিবার ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারছেন। তিনি আরো জানান, নকলা উপজেলায় ৯টি উইনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক বাছাই করা ও প্রেরণকৃত তালিকা অনুযায়ী সুবিধাভোগির সংখ্যা নির্ধারন করা হয়েছে। চেয়ারম্যানদের দেওয়া তথ্য ও তালিকা মোতাবেক উপজেলায় মোট ৯ হাজার ৮৬৮ হতদরিদ্র পরিবারকে এই স্বল্প মূল্যে চাল ক্রয়ের সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। চাল বিক্রি ও ক্রেতাদের সুবিধার লক্ষে পৌরসভা ব্যতিত প্রতি ইউনিয়নে ২ জন করে মোট ১৮ জন পরিবেশক নিয়োগ করা হয়েছে। এসব পরিবেশকের নিদৃষ্ট দোকানে প্রতি সপ্তাহে সুবিধা অনুযায়ী ৩ দিন স্বল্প মূল্যের চাল বিক্রি করা হয়।

Exit mobile version