Site icon

নেকব্লাস্ট রোগের আগাম সতর্কবার্তা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ

নেকব্লাস্ট রোগের আগাম সতর্কবার্তা

মো. মোশারফ হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি:

নেকব্লাস্ট রোগের আগাম সতর্কবার্তা : বর্তমান আবহাওয়ায় বোরো ধানের ক্ষেতে নেকব্লাস্ট রোগের মহামারী আকার ধারনের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকায় এই রোগের হাত থেকে ধানের ক্ষেতকে রক্ষা করতে শেরপুরের নকলায় আগাম সতর্কবার্তা সম্বলিত লিফলেট বিতরন করা হয়েছে।

৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের নকলা উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চরবাছুরআলগী মধ্যপাড়ার কৃষকদের মাঝে ওইসব লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার (ইউএও) কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) আবদুর রাজ্জাক, এসএএও মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় কৃষক-কৃষাণী ও গন্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিফলেট বিতরণ শেষে উপস্থিত কৃষকদরে উদ্দেশ্যে ইউএও কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস জানান, যেসব জমির ধান নেকব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়নি অথচ উক্ত এলাকায় রোগের অনুকুল আবহাওয়া যেমন- গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘলা আকাশ বিরাজমান, সেখানকার ধানের জমিতে রোগ হোক বা না হোক, শীষ বের হওয়ার আগে আগেই প্রতি ৫ শতাংশ জমিতে৮ গ্রাম ট্রুপার ৭৫ ডব্লিউপি/দিফা অথবা ৬ গ্রাম নাটিভো ৭৫ ডব্লিউজি অথবা ট্রাইসাইক্লোজল/স্ট্রবিন গ্রুপের অনুমোদিত ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় ১৯ লিটর পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে শেষ বিকেলে ৫ থেকে ৭ দিন অন্তর দুই বার প্রয়োগ করতে হবে। তাতে নেকব্লাস্ট রোগে ধানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

নকলায় নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের কৃষক মাঠস্কুল উদ্বোধন

শেরপুরের নকলায় ‘পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্প’র আওতায় কৃষক মাঠ স্কুল উদ্বোধন করা হয়েছে।

৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা ব্লকের চরবাছুরআলগী কান্দাপাড়া গ্রামে স্থাপিত ওই কৃষক মাঠ স্কুল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি অফিসার (ইউএও) কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস।

এসময় উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা (এসএপিপিও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) আবদুর রাজ্জাক, এসএএও মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় কৃষক-কৃষাণী ও গন্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, এই মৌসুমে ‘পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্প’র আওতায় উপজেলায় দুইটি কৃষক মাঠ স্কুল পরিচালিত হবে। এতে ২০ জন করে পুরুষ ও ৫ জন করে নারী কৃষক শিক্ষার্থী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিবেন। আর এই স্কুল চলবে ১৪ সপ্তাহ ব্যাপী। ১৪ সপ্তাহ পরে কৃষকদের মাঝে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক সরবরাহকৃত সনদ পত্র বিতরণ করা হবে।

উদ্বোধনের পরে, বর্তমান আবহাওয়ায় বোরো ধানের ক্ষেতে নেকব্লাস্ট রোগের মহামারী আকার ধারনের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকায় এই রোগের হাত থেকে ধানের ক্ষেতকে রক্ষা করতে শেরপুরের নকলায় আগাম সতর্কবার্তা সম্বলিত লিফলেট স্থানীয় কৃষকদরে মাঝে বিতরন করা হয়।

Exit mobile version