কৃষিসংবাদ ডেস্ক
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১৬ অক্টোবর বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ গুরুত্বসহকারে পালিত হয় দিবসটি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএ আর সি) মিলনায়তনে এ বিষয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের আগে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপি এক খাদ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মতিয়া চৌধুরী ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথির ভাষণে অর্থ মন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষি ও গবেষনা পুরাপুরি নিজেদের চেষ্টায় উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ মাছ উৎপাদনকারী দেশ। দেশে এখন এমন অনেক ফসল হয়, যা আগে হতো না। মন্ত্রী বলেন বাংলাদেশ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বছরে ৩ কোটি ৮০ লাখ টন খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। পুষ্টি সমস্যাও আগের তুলনায় কমেছে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, কৃষি যেমন বদলিয়েছে তেমনি দেশের মানুষ নিজেদের বদলিয়েছে। মন্ত্রি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে ।এ জন্য আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি বলেন, ট খাদ্য ব্যবস্থাপনায় যথেষ্ঠ দক্ষতা অর্জন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। তিনি বিদেশ থেকে খাবার কিনে বিদেশিদের ভর্তুকি দেওয়ার চেয়ে নিজের দেশের কৃষকদেরকে ভর্তুকি দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মঈন উদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম এ সাত্তার মণ্ডল।
এ সেমিনারে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার আবাসিক প্রতিনিধি মাইক রবসন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম