কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ লেখাপড়া শেষে অন্য আর পাঁচ জনের মত চাকরির পিছনে না ছুটে হতাশ হওয়ার চেয়ে নিজের অর্জিত জ্ঞান পুঁজি করে সামান্য পরিসরে কোনো কিছু গড়ার চেষ্টা করে সমাজে অবদান রাখা যায়। এমনিই ভাবেন এক আত্মপ্রত্যয়ী যুবক লিটন। যিনি ভাবেন নিজ কর্মের মাধ্যমে কোনো কিছু দাঁড় করিয়ে আরো মানুষের কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি করাই সম্মানজনক। অন্ততপক্ষে নিজ প্রচেষ্টায় স্বাবলম্বী হওয়ার একটি আত্মগৌরব রয়েছে। এমনই এক আত্মপ্রত্যয়ী যুবক গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূব ছাপড়হাটী গ্রামের রবীন্দ্র নাথ সরকারের পুত্র লিটন বাবু। যিনি লেখাপড়া শেষে চাকরির পিছনে ছু্টে হতাশ না হয়ে নিজের সামান্য জ্ঞান দিয়ে ফুল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। যেখানে প্রতিদিন ৫-৬ জন শ্রমিক কাজ করে জীবিকনির্বাহ করছে।
লিটন জানায়, পড়াশোনা শেষ করে কি করবেন মনস্থির করতে পারছিলেন না তিনি, কি করবেন কি করবেন না। তবে তিনি ছোট বেলা থেকে ফুল ভালোবাসতেন। আর এ জন্য গ্রামবাসী তাকে ফুল প্রেমিক বলে আখ্যায়িত করে । প্রথমে তিনি নিজ বাড়ির উঠানে টবের মধ্যে ফুল চাষ শুরু করে্ন। ওই দিনগুলোতে সারাদিন ফুল নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে থাকেন। পরে তার বাড়ির পাশে ছোট এক খণ্ড জমিতে ফুল চাষ শুরু করেন। ধীরে ধীরে তার চাষের পরিধিও বাড়তে থাকে। পরে বাগানটিকে ‘সীমা নার্সারি’ বলে নামকরণ করেন।
লিটন জানান, ‘বর্তমানে দুই বিঘা জমিতে তিনি ফুল চাষ করেন। প্রতি বছর ফুল থেকে আয় হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা। সরকারি কোনো প্রশিক্ষণ বা আর্থিক সহযোগিতা পেলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফুল যোগান দিয়েও বিদেশে রফতানি করতে পারবেন তিনি।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে নার্সারিতে রজনীগন্ধা, গ্লাডিউলাস, গাদা, গোলাপ, ডালিয়া, সূর্যমুখী, দোপাটি, নয়নতারা, চন্দ্র মল্লিকসহ বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ হচ্ছে। এছাড়া ওই নার্সারিতে ফলদ ও ঔষধীসহ বিভিন্ন উৎপাদিত চারা বিক্রি করে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।তবে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণসহ আর্থিক সহযোগিতা পেলে ফুল উৎপাদনে অধিক সফলতা আসবে বলে লিটন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।ইত্তেফাক।।