Site icon

বরিশালের উজিরপুরে নিরাপদ পান উৎপাদনের ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

নিরাপদ পান উৎপাদন

নিরাপদ পান উৎপাদন

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল):

নিরাপদ পান উৎপাদন ঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার রৈভদ্রাদিতে ১৭ সেপ্টেম্বর পানের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও  সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে  নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তির ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম। তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলে পান বিনা সামাজিক অনুষ্ঠানের পূর্ণতা পায় না। আপ্যায়নের উপকরণ হিসেবে এর ব্যবহার সমাদৃত। এ রীতি বহু পুরোনো।পান যেহেতু কাঁচাই খেতে হয়, তাই এর উৎপাদন অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে শতভাগ।

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষকৃত গুরুত্বপূর্ণ ফল, পান, সুপারি ও ডাল ফসলের পোকামাকড় সনাক্তকরণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরিশালের আরএআরএস’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন।বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাসমান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা  ড. মো. আলিমুর রহমান এবং উপজেলা কৃষি অফিসার মো. তৌহিদ।

গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচি পরিচালক ড. মো. মাহবুবুর রহমান। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গুঠিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন, পানচাষি মো. ফারুক হাওলাদার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিএআরআই’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা স্মৃতি হাসনা এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে বরিশাল জেলায় পান আবাদের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৬ শ’ ৮২ হেক্টর।আর অঞ্চলের ৬ জেলায় এর পরিমাণ ৬ হাজার ১ শ’ ৩৮ হেক্টর প্রায়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ৮০ জন পানচাষি অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে প্রধান অতিথি বরিশালের আরএআরএস ক্যাম্পাসে একই বিষয়ের ওপর দিনব্যাপী এক কৃষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।

Exit mobile version