গদখালিতে গোলাপ ৮ থেকে ১১ টাকা পিস, গ্লাডিওলাস ৫ থেকে ১০টাকা, রজনীগন্ধা আড়াই থেকে ৩ টাকা, জারবেরা ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এবার অনুকূল পরিবেশের কারণে ফুলের ফলন ভাল হয়েছে, তেমনি দামও পেয়েছেন ফুলচাষীরা। এতে গতবছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।
যশোরের পানিসারা গ্রামের ফুলচাষী নূর ইসলাম, টাওরা গ্রামের সাইফুল আকতার ও মিজান জানান, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী, পানিসারা ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয় রজনীগন্ধা, গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জিপসি, রকস্টিক, ক্যালেন্ডোলা, চন্দ্র মল্লিকাসহ বিভিন্ন ধরণের ফুল। চলতি ফুল মৌসুমে এ অঞ্চলে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ করা হয়। এবছর অনুকূল আবহাওয়ায় ফুলের উৎপাদনও হয়েছে ভাল।
যশোরে ১৩ কোটি টাকার ফুল বিক্রি যশোরে ফুল ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ ও নাসির উদ্দিন জানান, গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল-অবরোধের কারণে ফুলচাষী ও ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। সরবরাহ ব্যহত হওয়ায় ক্ষেত আর বাজারে পঁচেছে লাখ লাখ টাকার ফুল। যাও বিক্রি হয়েছে তা পানির দরে। কিন্তু সে পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ায় বিগত থার্টিফার্স্ট ও ইংরেজি নববর্ষকে ঘিরে ফুলের ভাল বেচাকেনা হয়েছে। আর বসন্ত ও ভালবাসা দিবস উপলক্ষে গদখালিতে ফুলের দাম ও চাহিদা দু’টোই বেড়েছে। বসন্ত বরণ, ভালবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অন্তত ২০ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা আরো জানান, গদখালিতে এখন গোলাপ প্রতিপিচ ৮ থেকে ১১টাকা, গ্লাডিওলাস ৫ থেকে ১০টাকা, রজনীগন্ধা আড়াই থেকে ৩ টাকা, জারবেরা ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে গদখালিতে অন্তত ১৩ কোটি টাকার ফুলের বেচাকেনা হয়েছে।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ারস সোসাইটি সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ইতিমধ্যে প্রায় ১৩ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। আর বেচাকেনায় সন্তুষ্ট এ অঞ্চলের চাষীরা। আর সামনে রয়েছে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। এ দিবসকে ঘিরেও আশানুরূপ বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্থানীয় ফুলচাষী ও ব্যবসায়ীরা। আরটিএনএন
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম