Site icon

জমকালো আয়োজনে উদযাপিত হলো বাকৃবি’র ৯৮-৯৯ ব্যাচের পূনর্মিলনী

কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ

টানা দুইদিন প্রকৃতিকন্যা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো এক উৎসবের ক্যাম্পাস। চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা, ব্যানার ফেস্টুনে বর্ণীল ছিলো ক্যাম্পাস চত্ত্বর। প্রাক্তন ছাত্রদের ক্যাম্পাসজুড়ে হই-হুল্লোড়, সাথে প্রাক্তন ছাত্রদের পরিবার ও তাদের সন্তানের পদচারণায় চারদিকেই ছিলো উৎসবের আমেজ।বর্তমান আর প্রাক্তনদের মেলবন্ধনে নতুন এক উল্লাসে মেতেছিলো বাকৃবি পরিবার। আর এই আয়োজনে ছিলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ৯৮-৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার সকালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে পুর্ণমিলনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য্য ড. জসিম উদ্দিন খান। উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি বলেন, এ ধরণের পূর্ণমিলনী বন্ধুত্বের এবং বাকৃবি পরিবারের বন্ধনকে আরো দৃঢ় করবে। অসুস্থ সহপাঠীদের সহযোগিতায় ৯৮-৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বেশকিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরে এই ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান প্রো-ভিসি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের যুগ্ম-সম্পাদক ও বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের যুগ্ম-মহাসচিব ড. এ কে এম জাকির হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল এলামনাইদের নিয়ে ২০১২ সালের মত খুব দ্রুতই একটি বর্ণাঢ্য পুর্নমিলনীর ঘোষণা দেন ড. জাকির।

এরপর বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ব্যানার, ফেস্টুন, আর ভুভজেলার ধ্বণিতে মুখরিত হয় ক্যাম্পাস। শোভাযাত্রাটি গোটা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শেষ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে। শোভাযাত্রা শেষে দিনভর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো, নিজ নিজ ফ্যাকাল্টি আর হলে হলে নিজেদের রুমে যাওয়াসহ দিনভর চলে স্মৃতিচারণ, আড্ডা।

সন্ধ্যায় ফানুস উড়ানো দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর্ব। জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ পর্ব।প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও তাদের সন্তানরা অংশ নেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মূল আর্কষণ ছিলো ক্লোজআপন ওয়ান তারকা মুহিন ও নিশিতা বড়ুয়ার পরিবেশনা। তাদের একের পর এক মনমুগ্ধকর পরিবেশনায় উচ্ছাসে মেতে উঠে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও আগত অতিথিরা।

পূর্নমিলনীর দ্বিতীয় দিন ছিলো নানা খেলাধূলার আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে এই আয়োজনে অংশ নেয় শিশুরা।প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। আর চলে পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণ। শুধু পূর্ণমিলনী নয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সেশন ৯৮-৯৯ এলামনাই এসোসিয়েশনের মাধ্যমে একটি ফান্ড তৈরি করে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড এবং অসহায় বন্ধুদের সহযোগিতারও ঘোষণা দেয় হয় এই পূণমিলনী থেকে। পুর্ণমিলনীর র‌্যাফেল ড্র থেকে উপার্জিত টাকা দেয়া হয় ভেটেরিনারি অনুষদের ৯৮-৯৯ ব্যাচের অসুস্থ শিক্ষার্থী সুমি আক্তারকে।

পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৯৮-৯৯ সেশনের শিক্ষার্থী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. সবিবুল হক সবুজ এবং সদস্য সচিব ছিলেন অধ্যাপক ড. মুনির হোসেন।শনিবার সন্ধ্যায় শেষ হয় দুদিনের এই জমকালো আয়োজন।

Exit mobile version