Site icon

বারি’তে জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফল ও শাক-সবজির পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তি

জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তি

কৃষি সংবাদ ডেস্ক

জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তি ঃ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর কীটতত্ত¡ বিভাগের উদ্যোগে আজ ০২ জুলাই বৃহস্পতিবার “জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফল ও শাক-সবজির পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক দিনব্যাপী বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের অংশগ্রহণে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে শাক-সবজি, ফল ও পান ফসলের পোকমাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় গাজীপুর সদরের বিভিন্ন মসজিদের ৩৫ জন ইমাম, খতিব ও খাদেম অংশগ্রহণ করছেন।

সকালে বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ইমাম প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। বারি’র কীটতত্ত¡ বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. মিয়ারুদ্দীন, পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) জনাব মো. হাবিবুর রহমান শেখ। কীটতত্ত¡ বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আখতারুজ্জামান সরকার এর সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একই বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দত্ত।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম বলেন, মসজিদের ইমামগণ হচ্ছেন একটি সমাজের নেতা। তাদের কথা সবাই মেনে চলার চেষ্টা করে। আমরা এখন আর কীটনাশকের বিষ মিশ্রিত খাবার খেতে চাই না। ফসলে অধিক পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এজন্য আমাদের ফসলে জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে। এতে আমরা যেমন নিরাপদ থাকবো তেমনি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্বাস্থ্যঝুকি কমে আসবে। এই তথ্য আমরা ইমাম সাহেবদের মাধ্যমে সমাজের সকলের কাছে পৌছে দিতে চাই। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাÐের তথ্য সমাজের সকলের কাছে পৌছে দেয়ার মাধ্যম হচ্ছে আমাদের ইমাম সাহেবগণ। আর এ উদ্দেশ্যেই আমাদের আজকের এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন।

Exit mobile version