Site icon

বীজ উৎপাদনে সফল কৃষক পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার আব্দুল খালেক

কৃষি সংবাদ ডেAbdul khalekস্কঃ

বীজ উৎপাদনে সফল

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার আদর্শ কৃষক আব্দুল খালেক কৃষক পর্যায়ে মানসম্মত উচ্চফলনশীল বিভিন্ন মাঠ ফসলের বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণে ব্যাপক সফলতা এনেছেন। তার উৎপাদিত বীজ উপজেলার কৃষকদের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকেও কৃষকরা বীজ নিয়ে ফসল উৎপাদন করছেন।

কৃষক আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন যাবত বীজ উৎপাদন ও কৃষকদের কৃষিক্ষেত্রে পরামর্শ প্রদান করে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন। তার উৎপাদিত বীজ ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছেন এলাকার কৃষক। জানা যায়, উপজেলার আটঘরিয়া পৌরসভার উত্তরচক গ্রামের মৃত খন্দকার আলাউদ্দিনের ছেলে আব্দুল খালেক ১৯৯৮ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত কৃষক পর্যায়ে মানসম্মত উচ্চফলনশীল ধান, গম, সরিষা, তিল, মসুর ও মুগসহ বিভিন্ন মাঠ ফসলের বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ করে কৃষিক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন। গত বোরো মৌসুমে তিনি ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ২৯ জাতের প্রায় ৮ টন এবং রোপা আমন মৌসুমে বিনা ধান-৭, ব্রি-ধান ৪৯, ব্রি-ধান ৫১ ও ৫২ জাতের প্রায় ৩ টন ধানবীজ কৃষকদের কাছে বিক্রি করেছেন।

এ ছাড়াও চলতি রবি মৌসুমে বিজয় ও প্রদীপ জাতের প্রায় ৬ টন গম বীজ, টরি-৭ ও বারি সরিয়া-১৪ ও বারি সরিষা-১১ জাতের ২ টন সরিষার বীজ বিক্রি করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন মাঠ ফসলের বীজ কৃষকরা তার কাছ থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। এ বিষয়ে আলাপকালে আদর্শ কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, স্থানীয় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত কৃষক পর্যায়ে বীজ উৎপাদন করে আসছি এবং উৎপাদিত বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে আসছি।তিনি আরো জানান, আমি দীর্ঘদিন কৃষক মাঠ স্কুলের কৃষক সহায়তাকারী (এফএফ) হিসাবে কৃষক মাঠ স্কুল পরিচালনা করে আসছি। এ ছাড়াও আইপিএম, আইসিএম এবং বর্তমানে আইএফএম ক্লাবের মাধ্যমে কৃষি অফিসের সার্বিক সহায়তায় এলাকার কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করে আসছি।

এ বিষয়ে উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামের কৃষক নূর হোসেন জানান, আমরা আব্দুল খালেকের কাছ থেকে বিভিন্ন ফসলের বীজ সংগ্রহ করে আবাদ করে আসছি। চাটমোহর উপজেলার বরদানগর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, আব্দুল খালেকের উৎপাদিত বীজ অত্যন্ত মানসম্মত ও গুণগত উপায়ে সংরক্ষণ করায় তার উৎপাদিত বীজ দিয়ে আবাদ করে সফলতা পেয়েছি।

আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আনিছুজ্জামান বলেন, কৃষক আব্দুল খালেক আমাদের কৃষি অফিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। আমরাও তার উৎপাদিত বীজের গুণগত মান ও সংরক্ষণ পদ্ধতি সার্বক্ষণিক তদারকি করে থাকি। আব্দুল খালেকের উৎপাদিত বীজ কৃষি অফিসের সব নিয়ম-কানুন অনুসরণ করেন। তাই আমরাও কৃষকদের তার কাছ থেকে বীজ সংগ্রহের কথা বলে থাকি। তার বীজ মাঠ পর্যায়ের ফলাফল অত্যন্ত ভালো।

এলাকার কৃষকদের দাবি, আদর্শ কৃষক আব্দুল খালেককে যদি কর্তৃপক্ষ আরো উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বীজের উৎপাদন ও সংরক্ষণ বিষয়ে সার্বিক সহায়তা করে তাহলে স্থানীয় পর্যায়ে কৃষিক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৃষি উপকরণ বীজের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি বীজের বৈচিত্র্য আনায়ন করা সম্ভব।  রাইজিং বিডি।।

কৃষির আরো খবরাখবর জানতে আমাদের পেইজে লাইকদিনঃ facebook.com/krishisongbad.com

Exit mobile version