Site icon

ব্যাপক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে হাবিপ্রবিতে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৯ পালিত

বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৯

বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৯

কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ

বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৯ ঃ ১৬ অক্টোবর ২০১৯ দিনাজপুরঃ “আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ, পুষ্টিকর খাদ্যই হবে আকাক্সিক্ষত ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী” এ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)-এ পালিত হয়েছে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৯। দিবসটি উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালি, নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সেমিনার ও দুই দিন ব্যাপি ফুড এক্সিবিশন আয়োজন করা হয়।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালটির প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালি বের হয়। গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি তে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সম্মানিত সদস্য প্রফেসর ড. শাহ্ নওয়াজ আলী ও হাবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম। র‌্যালি শেষে টিএসসি ভবনের নীচতলায় আয়োজিত ফুড এক্সিবিশন ও ফুড অ্যান্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরীকৃত খাদ্য সামগ্রীসমূহ ঘুরে দেখেন অতিথিরা।

পরে সেখানে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. শাহ্ নওয়াজ আলী, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক ড. মোঃ ফেরদৌস জামান, হাবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডাঃ মোঃ ফজলুল হক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্যরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শাহ্ নওয়াজ আলী বলেন দেশে যখন মাত্র ৭ কোটি জনসংখ্যা ছিল সেই সময় খাদ্য ঘাটতি ছিল কিন্তু বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি তারপরও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা আমাদের দেশের জন্য বিশাল অর্জন। বর্তমান সরকার ও কৃষি নির্ভর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবদানে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, হাবিপ্রবি এখন কোন দিকেই পিছিয়ে নেই। নিত্য নতুন গবেষণা ও যন্ত্র উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। ফুড এক্সিবিশনের বিষয়ে তিনি বলেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা গবেষণা করে যে খাবারগুলো তৈরি করেছে তা উন্নতমানের ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। তিনি বলেন মার্কেটিং এর মাধ্যমে এগুলো বাজারজাত করার উদ্যোগ নিলে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে এর সুবিধাভোগী হবে। কারণ এখন দেশের বেশিরভাগ মানুষ ভেজাল খাদ্যের জন্য জটিল জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এদিকে আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ তে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৯ উপলক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ফুড অ্যান্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করেন ।

Exit mobile version