কৃষিসংবাদ ডেস্কঃ
বনের রাজা সিংহ
মানুষ ভয় পায় সিংহকে। অথচ সেই সিংহরাজই জঙ্গলের আশ্রয় ছেড়ে জনপদে এসে মানুষ দেখে ভড়কে গেল সিংহ।
এমনিতে মানুষ সিংহকে ভয় পায়। কিন্তু ভারতের গুজরাত রাজ্যের আমরেলিতে মানুষ দেখে ভয় পেয়ে গেল জঙ্গলের রাজা। জাফরাবাদে জনপদে ঢুকে পড়েছিল ওই সিংহ। তাকে দেখতে জমে যায় প্রচুর ভিড়। অত মানুষ দেখে ঘাবড়ে গিয়ে সমুদ্রে ঝাঁপ দেয় সিংহ।
সমুদ্রে সিংহ সাঁতার কাটতে থাকে। কিন্তু তার এই খেয়ালে বিপাকে পড়ে বন দফতর। সমুদ্র থেকে সিংহটিকে উঠিয়ে আনতে হয়রান হতে হয় বন বিভাগের কর্মীদের। প্রায় চার ঘন্টা ধরে চলে উদ্ধার অভিযান।
সে কখনও একটু পিছন ফিরে দেখে, আবার কখনও সাঁতারের মজায় মেতে থাকে। শেষপর্যন্ত ঘুমপাড়ানি গুলি করে সমুদ্রেই তাকে বেহুঁশ করে দড়ি দিয়ে টেনে পাড়ে নিয়ে আনা হয়।
সৌরাষ্ট্রের বিভিন্ন জনপদে এর আগেও সিংহ ঢুকে পড়ার খবর জানা গেছে। কিন্তু এই প্রথম কোনও সিংহকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেল।
চালকের আসনে বাঁদর! গাড়িকে ধাক্কা দিল বাস
‘বাঁদরামি’ আর কাকে বলে! বাসের চালক একটু নিদ্রা গিয়েছিলেন। আর সেই ফাঁকে বাসে উঠে ইঞ্জিন চালিয়ে দিল বাঁদর। ইঞ্জিনের শব্দ শুনে চমকে ঘুম ভাঙে চালকের। ড্রাইভারের কেবিনে ছুটে যান বাঁদরটিকে তাড়াতে। কিন্তু ততক্ষণে তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে সেকেন্ড গিয়ারে চাপ দিয়ে দেয় বাঁদরটি। বাসটি চলতে শুরু করে। চালকহীন বাসটিকে চলতে দেখে বাসস্টপে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে।
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সড়ক পরিবহন সংস্থা (ইউপিএসআরটিসি)-র বাসটি শেষপর্যন্ত দুটি দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ধাক্কা মারে। কোনোক্রমে ইঞ্জিনের হাল ধরে বাসটি নিয়ন্ত্রণে আনেন চালক। বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। ইউপিএসআরটিসি-র রিজিওনাল ম্যানেজার এস কে শর্মা এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেছেন, সংস্থার বাস স্টপ ও ওয়ার্কশপগুলিতে বাঁদরের উপদ্রব চরম পর্যায়ে উঠেছে। মেরামতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলিতে চড়ে শাখামৃগরা অনেক সময়ই সিসিটিভি ক্যামেরাও ভেঙে ফেলে। তিন বছর আগে বাঁদরকূলকে তাড়াতে পৌরসংস্থার সাহায্য নিয়েছিল ইউপিএসআরটিসি। কিন্তু তারা আবার ফিরে এসেছে।