মিষ্টি কুমড়া
কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ জিয়াদ
মিষ্টি কুমড়া ল্যাটিন আমেরিকা ও মধ্য আমেরিকা অঞ্চলের সব্জি। ১৬শ খ্রীষ্টাব্দের দিকে এটি ভারত বর্ষে প্রবেশ করে। দেশীয় আবহাওয়ায় রবি, খরিপ দু মৌসুমেই এটি চাষ করা যায়। মিষ্টি কুমড়ার অনেকগুলো জাত রয়েছে,এর মধ্যে কোনটি মাচায় আবার কোনটি খোলা মাঠে চাষ করা হয়। শুষ্ক ঘরে ৪/৫ মাস পর্যন্ত মিষ্টি কুমড়া সংরক্ষণ করা যায়।
মিষ্টি কুমড়া একটি সুস্বাদু সব্জি হলেও অনেকেই এটি পছন্দ করেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে খুবই খারাপ সংবাদ, কারণ তারা অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হন।
# মিষ্টি কুমড়াকে ভিটামিন-এ এর স্টোর বলা হয়,কারণ এত ভিটামিন-এ আর অন্য কোন সব্জিতে নেই। বাচ্চাদের ছোট বেলা থেকে এটি খাওয়ানোর অভ্যাস করা গেলে চোখে চশমার প্রয়োজন হবে না।এটি বড়দের চোখে ছানি পড়া রোধ করে।
# নামে মিষ্টি থাকলেও মিষ্টি কুমড়ায় খুবই অল্প পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে। এর লো ক্যালরি এবং উচ্চ ফাইবার এর জন্য এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি হতে পারে ডায়াবেটিস রোগীর একটি আদর্শ সব্জি।
# যারা উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য মিষ্টি কুমড়া একটি আদর্শ সব্জি, কারণ এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন-সি, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য খুবই প্রয়োজন।
# মিষ্টি কুমড়ায় আছে প্রচুর পরিমাণে জিংক ও আলফা হাইড্রোকার্বন। জিংক দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে ও অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয় রোগ রোধ করে।
# এতে আছে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন নামের গুরুত্বপূর্ণ আ্যান্টি অক্সিডেন্ট,যা ভেজাল খাদ্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ফ্রি র্যাডিক্যালস্ গুলোর ড্যামেজ কন্ট্রোল করে।
# মিষ্টি কুমড়া ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায় এবং আর্টারির দেয়ালে চর্বির স্তর জমতে বাঁধা দেয়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
# এর উচ্চ মানের আঁশ খাদ্য হজমে সাহায্য করে,কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে।
# মিষ্টি কুমড়ায় আছে যথেষ্ট ভিটামিন-সি যা ত্বক ও চুল ভাল রাখে,সর্দি -কাশি প্রতিরোধ করে।
# এটি কিডনিতে পাথর জমতে বাঁধা দেয়। এর বিচি আমিষ সমৃদ্ধ ও আ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে।
# মিষ্টি কুমড়ায় অনেকের এলার্জি ভীতি থাকলেও বাস্তবে এটি খুব কম মানুষের জন্য এলার্জিক ফুড।।