মোঃ মোশারফ হোসেন, নকলা (শেরপুর) :
পাল্টে গেছে উপকার ভোগি এলাকার চিত্র, উন্নত হয়েছে মানুষের জীবনমান। উপকারভোগি কৃষকরা বলছেন, তারাকান্দা রাবারড্যাম ও সেতু কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। কৃষকরা নামে মাত্র মূল্যে সেচ সুবিধা ভোগ করছেন। সবার মতে রাবারড্যাম প্রকল্পটি যেন এলাকার কৃষকদের আর্শীবাদে পরিণত হয়েছে। পানির সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য কৃষকদের নিয়ে ঘটন করা হয়েছে ‘তারাকান্দা রাবারবাঁধ পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি’ একটি কর্মঠ কমিটি। কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের অধিক সুবিধা ভোগে নানান পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে শতাধিক কৃষক পরিবারকে রাবারড্যামের অর্থায়নে কম্পোস্ট তৈরীর প্রশিক্ষণ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়া সহ সকল সদস্যদের ফলজ গাছ দেওয়া হয়েছে। এই রাবারড্যাম প্রকল্পটি দেশের উন্নয়নে মডেল হতে পারে। তাড়াকান্দা রাবারড্যাম নির্মানের পূর্বে ১৯৯৬ সালে নালিতাবাড়ি উপজেলার জামিরাকান্দা এলাকায় ভোগাই নদীতে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে জেলার প্রথম বারের মতো রাবার বাঁধ ও সেতু নির্মাণ করা হয়। ১১ টি ক্যানেলের মাধ্যমে পৌরসভা সহ ৭ টি ইউনিয়নের ১০ হাজার একর জমি সেচ সুবিধার আওতায় আনা হয়। তাতে ১২ হাজার সুবিধা ভোগী কৃষক প্রতি বছর ২০ কোটি টাকার চাল অতিরিক্ত উৎপাদন করছেন। সেখানেও রয়েছে একটি সমবায় সমিতি। ওই দুটি রাবার বাধের সুফল দেখে মাননীয় কৃষি মন্ত্রী জেলায় আর একটি রাবারবাধ নির্মানের প্রচেষ্ঠা চালান। অবশেষে চলতি বছর নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর উপর সন্নাসীভিটা এলাকায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলার তৃতীয় রাবারবাধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এতে ৬ টি ইউনিয়নের ৩ হাজার একর অনাবাদি জমি সেচের আওতায় আসে। ফলে ২৫ টি গ্রামের প্রায় ৬ হাজার কৃষক পরিবার এর সুবিধা ভোগ করার আওতায় আসে। তাতে প্রতিবছর অতিরিক্ত ৮ কোটি টাকার অতিরিক্ত চাল উৎপাদন হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ঠরা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনায় ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি। সরেজমিনে দেখাযায় রাবার বাঁধের উপর দিয়ে জলপ্রপাদের ন্যায় গড়িয়ে পড়া পানির দৃশ্য দেখতে এবং মুক্ত বাতাসে প্রান ভরে শ্বাস নিতে সেতুর উপরে সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাতে লোকের সমাগম লক্ষনীয়। উজানের দুই তীরের কৃষকরা এলএলপি পাম্প দিযে সেচের মাধ্যমে শাক সবজি সহ বোরো আবাদে সাচ্ছন্দ অনুভব করছেন। পাশাপাশি সেতু হওয়ায় কৃষকদের উৎপাদিত শাক সবজি ও সকল কৃষি পণ্য সহজে বিভিন্ন শহরের হাট বাজারে সরবরাহ করতে পারায় ন্যায্য দাম পাচ্ছেন তারা। ফলে কোন সময়ের অবহেলিত কৃষকদের জীবন মানের আমূল পরিবর্তন ঘটছে বলে মত দিচ্ছেন সুধি জনরা।