মোঃ মোশারফ হোসেন, নকলা (শেরপুর) :
শেরপুরের নকলায় মোড়কে শসার ছবি ও উন্নত বীজের বিজ্ঞাপন সম্বলিত বীজ রোপন করলেও তা থেকে খিরা গাছ গজানোর গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঋণ করা লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ের শসাক্ষেতে খিরা হওয়ায় বর্গা চাষি আদুর এখন মাথায় হাত। সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়ের পাঠাকাটা গ্রামের কৃষক জহুর উদ্দিন আদুর ৬০ শতাংশ জমিতে শসাবীজে খিরা ফলন হয়েছে। কৃষক আদু জানায়, অধিক লাভের আশায় নিজের ৩০শতাংশ ও ৩০ হাজার টাকায় স্থানীয় কৃষক মোস্তফার নিকট আরও ৩০শতাংশ জমি লিজ নিয়ে ওই ৬০ শতাংশ জমিতে ঋণের ১লাখ ১২হাজার টাকা ব্যয়ে শসা চাষ করেন। তিনি আরও জানান, ভালো বীজ পাওয়ার নিশ্চয়তার আশায় বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ শহরের আবু সাঈদ টুটুলের ‘শারিকা সীড স্টোর’ থেকে ১০ হাজার টাকার উচ্চ ফলনশীল জাতের বিজ্ঞাপন ও উন্নত শসার ছবি সম্বলিত বীজ ক্রয়করে ওইসব জমিতে রোপন করেন। শসা ক্ষেতের সঠিক পরিচর্যায় দুইমাস পরে ফলন আসে খিরার। তাদেখে কৃষক আদুর মাথায় ভাঁজ পড়েযায়। ২ছেলে ও ১মেয়ের পড়া-লেখা এবং সংসার খরচ চালাতে পরিবার পরিজন নিয়ে সে এখন দিশেহারা। নিজের অন্যকোন আবাদী জমিও নেই। এবছরটা কিভাবে চলবেন সে চিন্তায় মহা বিপাকে আছেন সে। শারিকা সীড স্টোরের মালিক আবু সাঈদ টুটুলের সাথে যোগাযোগ করে কোন সদোত্তর পাওয়া যায়নি। কৃষক আদু প্রতিদিন ওই ক্ষেতের আইলে বসে চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় খোঁজে পাচ্ছেন না।। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, ওই কৃষক যে দোকান থেকে বীজ ক্রয় করেছেন তার কিছু প্রমাণাদি সহ আমার বরাবরে আবেদন করলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে চাষি জহুর উদ্দিন আদু ও স্থানীয় কৃষকরা এমন প্রতারক বীজ কোম্পানীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের নজরদারী বাড়ানোসহ উপযুক্ত শাস্তি কামনা করেছেন। তার বলেন, এই প্রতারনায় শুধু আদুই ঠকছে না, কৃষি অর্থনীতি উন্নয়ন বাধার সম্মূখীন হচ্ছে।