বিনা সরিষা-৯
মো. মোশারফ হোসাইন, শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের নকলা উপজেলার কুর্শা এলাকায় বিনা সরিষা-৯ এর প্রদর্শনীর উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিনা) কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন সরিষার জাত, বিনা সরিষা-৯ এর সম্প্রসারণ ও প্রসারের লক্ষ্যে বিনা উপকেন্দ্র নালিতাবাড়ীর আয়োজনে এবং রাজস্ব খাতের অর্থায়নে কুর্শা এলাকার চাষী আব্দুল হান্নানের বিনা সরিষা-৯ প্রদর্শনী প্লটের নিকটে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
শেরপুর খামার বাড়ীর ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আকতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে বিনা ময়মনসিংহের মহাপরিচালক ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী বক্তব্য রাখেন। বিনা উপকেন্দ্র নালিতাবাড়ীর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শ ম আব্দুল আলীমের সঞ্চালনায় এ মাঠ দিবসে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিনা ময়মনসিংহের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের সিএসও ড. মো. আব্দুল মালেক, বিনা উপকেন্দ্র নালিতাবাড়ীর উর্ধ্বতন ও ভারপ্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহবুবুল আলম তরফদার, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও এফআরডি (বারি) এ কে এম জুনায়েদ উন নূর, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল মন্নাফ খান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুছ সামাদ, বিনা সরিষা-৯ চাষি আব্দুল হান্নান, মো. নাহিদুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিনা ময়মনসিংহের মহাপরিচালক ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী তাঁর বক্তব্যে জানান, দেশে বিভিন্ন কোম্পানীর সয়াবিন তেলসহ বিভিন্ন উদ্ভিজ্য ও প্রাণিজ তেল পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর ও ব্যয় বহুল বটে। পক্ষান্তরে সরিষার তেল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি ও সাশ্রয়ী। বিনা সরিষা-৯ এর মতো স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন মাঠ ফসল চাষ করতে পারলে, একই জমিতে বছরে ৩ থেকে ৪ বার বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। যা অন্য কোন উপায়ে বা আবাদে অসম্ভব। তাছাড়া পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুণগত মানসম্পন্ন সরিষা আবাদের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। বিভিন্ন সুফল বিবেচনায় আগামীতে বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন বিনা সরিষার জাত আবাদের জন্য উপস্থিত সকল কৃষককে আমন্ত্রণ জানান। এসময় বিনা উপকেন্দ্র নালিতাবাড়ীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, কুর্শা ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভিন্ন ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন, স্থানীয় শতাধীক কৃষক-কৃষাণী ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।