সিকৃবির একাডেমিক কাউন্সিল: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৪৬তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞার সভাপতিত্বে এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য সচিব সিকৃবির রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, একাডেমিক বিভাগের চেয়ারম্যান, শাবিপ্রবির স্যোশাল সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল গণি, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: শিশির রঞ্জন চক্রবর্ত্তী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর মোঃ রফিকুল ইসলাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, লাইব্রেরিয়ান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, সিকৃবির বিভিন্ন বিভাগের প্রফেসর ও সহযোগী প্রফেসরবৃন্দ এবং অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম শুরু হয়। একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান উপস্থিত সকল সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস) এর উদ্যোগে ২ দিনব্যাপী এডভান্সড কৃষি গবেষণা শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য একাডেমিক কাউন্সিল থেকে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ প্রদান করা হয়। ৪৬তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তন্মধ্যে বিভিন্ন অনুষদের আউটকাম বেইজড এডুকেশন কারিকুলাম অনুযায়ী প্রথম বর্ষ থেকেই শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় সমাবর্তনের প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য একাডেমিক কাউন্সিল থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। সদ্য প্রয়াত সিকৃবির সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহিদ উল্লাহ তালুকদারের নামে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ওয়ার্কশপ ও গবেষণাগার নামকরণের ব্যাপারে সুপারিশ দিয়েছে কাউন্সিল। এছাড়া ৪৬তম একাডেমিক কাউন্সিল থেকে ২ জন সদস্যকে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ হলেন পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. কাজী মেহেতাজুল ইসলাম এবং ফিশারিজ টেকনোলজি ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আবু সাঈদ।