Site icon

যশোরের শার্শা বেনাপোলে হাইব্রিড লাউয়ের বাম্পার ফলন

 যশোরের শার্শা বেনাপোলে চলতি শীত মৌসুমে সবজির বাজারে লাউ সরবরাহ  বেড়েছে। উপজেলা জুড়ে কৃষকরা লাউয়ের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তবে দাম না পেয়ে হতাশ অনেক চাষিরা। কম দামে লাউ কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। শিম বরবটি টমেটো ফুলকপিসহ বিভিন্ন সবজির দাম স্থানীয় পর্যায়ে থাকলেও লাউয়ের দাম পাচ্ছে না চাষিরা। লাউয়ের বাম্পার ফলন হওয়া দাম কমেছে বলে জানান, চাষি ও ব্যবসায়ীরা। কম খরচে অধিক ফলন ও লাভ পাওয়ায় বাড়ছে লাউ চাষ কৃষকরা হচ্ছেন উপকৃত বলেন শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার।যশোরের শার্শা বেনাপোলে দিন দিন বাড়ছে সবজি চাষ। চলতি মৌসুমে উপজেলায় লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় বাজারে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৮ টাকায়। যা এক মাসের ব্যবধানে প্রতিটি লাউ বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকায়। বাম্পার ফলন হওয়ায় দাম কমেছে বলে জানান স্থানীয়রা।শার্শা উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মীর বক্স- জানান, শার্শায় বৃদ্ধি পেয়েছে লাউ চাষ স্থানীয় জাতের চেয়ে হাইব্রিড ডায়না লাউ ফলন ভালো হওয়ায় বাড়ছে চাষ কৃষরা হচ্ছে উপকৃত। আগামী বছর এ জাতের লাউ চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।নাভারণ সবজির বাজারে আসা ক্রেতা আসুয়াবেগম বলেন, সুন্দর একটি কচি লাউ পেলাম কম দামে কিনে নিলাম দরকার টেংরা জিয়োল মাছ। লাউ তার পছন্দের তরকার। প্রচুর লাউ উঠেছে বাজারে দামও কম। এতেই খুশি তারা।শার্শার কৃষক আবু তাহের বলেন, দুই বিঘা জমিতে করেছেন লাউ চাষ ফলন হয়েছে ভালো তবে দাম পাচ্ছেন কম। লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে দাম একটু বেশি পেলে অধিক লাভবান হতো চাষিরা। একই কথা বলেন কৃষক আনার আলী মোড়ল। তিনি বলেন, শীত মৌসুমে মানুষ কম লাউ খায়। গরমের সময়ে লাউয়ের চাহিদা ও দাম থাকে বেশি। তারা লাভবান হন বেশি।শীতকালিন সবজি লাউ খেতে সুস্বাদু কম দামে ভালো মানের লাউ কিনতে পেরে খুশি বলে জানান ক্রেতা আরসাদ আলী। তিনি বলেন ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম একটি লাউয়ের। এখন কম দামে পাচ্ছেন সবজি লাউ।
লাউ চাষে দিনাজপুরে কৃষকদের সফলতা: দিনাজপুরে উচ্চ ফলনশীল জাতের লাউ আবাদে অনেক কৃষক হচ্ছেন লাভবান। গ্রীষ্ম মৌসুমে লাউয়ের ভালো ফলন পাওয়ায় সারা বছর লাউ চাষ করার উদ্যোগী হয়েছেন এ অঞ্চলের বেশিরভাগ কৃষক।এবার দিনাজপুর অঞ্চলে ৩০০ হেক্টর লাউ চাষ হয়েছে। ধানের জেলা এই অঞ্চলে লাউ চাষে আগ্রহী হয়েছেন অধিকাংশ কৃষক। লাউ চাষ করে অনেক কৃষকের ঘুড়েছে ভাগ্যের চাকা। জমিতে গ্রীষ্ম মৌসুমে অন্যান্য সবজির থেকে উচ্চ ফলনশীন লাউ চাষ আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন দিনাজপুর অঞ্চলের বেশিরভাগ কৃষক।প্রতি কেজি লাউ ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করছেন কৃষক। কৃষকরা বলছেন, আগে বীজতলা ছাড়া লাউয়ের আবাদ হতো না। তবে গত দু’বছর ধরে উচ্চফলনশীল আবাদ করে বর্তমানে আমরা লাভবান হয়েছি।লাউ চাষ করা লাভবান এক কৃষক বলেন, দীর্ঘ একমাস ধরে লাউ বিক্রি করছি। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ পিস লাউ বিক্রি করে থাকি। কষ্ট করে বাজারে নিয়ে যেতে হয় না বাইরে থেকে লোক এসে লাউ কিনে নিয়ে যায়। জমি ফেলে না রেখে লাউয়ের পাশাপাশি ওই জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজিরও আবাদ করছেন কৃষকরা। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকার এসে নগদ টাকায় জমি থেকেই কিনে নিচ্ছেন লাউ।পাইকারিরা বলছেন, সরাসরি জমি থেকে লাউ কিনে ঢাকায় নিয়ে যায়। এখান থেকে লাউ কিনেছে ১৪-১৫ টাকায় আর ঢাকায় বিক্রি করব ২৫-৩০ টাকায়। লাউ চাষ সমপ্রসারণে কৃষককে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, যেহেতু হাইব্রিগ লাউ সেহেতু এই লাউ সারাবছর চাষ করা যায়। এ কারণে দেখা যাচ্ছে লাউ চাষিরা একবিঘা জমিতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করছেন।
নওগাঁয় লাউ চাষে কৃষকরা লাভবান : বাংলাদেশে যে কয়টি জেলায় পেঁয়াজ উৎপন্ন হয় তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো ও উৎকৃষ্টমানের পিয়াজ ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলায় উৎপন্ন হয়ে থাকে। পেঁয়াজের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলা এ বছর পেঁয়াজ চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কোন দুর্যোগ না আসলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। বিশ্বের মধ্যে সব চেয়ে উন্নত জাতের এবং মানসম্পন্ন পেঁয়াজ উৎপাদন হয় নগরকান্দা উপজেলায়।কৃষি সমপ্রসারণ সূত্রে জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলায় বর্তমানে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ১৪ হাজার ৮২৩ হেক্টর। এর মধ্যে এ বছর ৬ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। পেঁয়াজ চাষের জন্য জমির পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৫শ’ হেক্টর। তবে দিন দিন এ উপজেলায় পেঁয়াজ আবাদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ বছর ৮শ’ পাঁচ হেক্টর বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে।এলাকার কয়েকজন কৃষক বলেন, পেঁয়াজ চাষে উৎপাদন খরচ বাবদ প্রচুর টাকা ব্যয় হয়। পেঁয়াজ চাষ লাভজনক করতে সরকারের উচিত সময়মতো এবং ন্যায্য মূল্যে সার, কীটনাশক, ডিজেল ও বিদ্যুৎ সরবরাহসহ কম সুদে কৃষি লোনের ব্যবস্থা করা। উৎপাদিত পেঁয়াজ সংরক্ষণ সহযোগিতা ও পিয়াজের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকেই। তা হলে নগরকান্দা, সালথা, বোয়ালমারী, মধুখালী, সদরপুর, ভাঙা উপজেলাসহ বৃহত্তর ফরিদপুরে পেঁয়াজ আবাদ ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। সরকার এ ব্যাপারে সঠিকভাবে নজর দিলে বাংলাদেশে বিদেশ থেকে আর পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না।’ নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশুতোষ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘কোন প্রকার রোগ বালাই ও দুর্যোগের কারণে ক্ষতি না হলে এ বছর নগরকান্দা উপজেলায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আশা করছি এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ৫৫ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে।’ সংবাদ।।

 

Exit mobile version