Site icon

হাওড় অঞ্চলের ধান কাটা এখন বড় চ্যালেঞ্জ : কৃষিমন্ত্রী

হাওড় অঞ্চলের ধান

হাওড় অঞ্চলের ধান
এ কিউ রাসেল
হাওড় অঞ্চলের ধানঃ কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে হাওড় অঞ্চলের ধান কাটা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যে কৃষিমন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশে ১০০ কোটি টাকার মাধ্যমে প্রায় ৮০০ কম্বাইন হারভেস্টার ও ৪০০ রিপারসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আরও ১০০ কোটি টাকা দিয়ে সমপরিমাণ কৃষি যন্ত্রপাতি অচিরেই কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম চলছে। এবার ধান কাটার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন জেলায় ধান কাটতে যাচ্ছেন।
বুধবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এ সময়টা বোরো ধান কাটার মৌসুম। সারাদেশে এবছর বোরো চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হলো ০২ কোটি ০৪ লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। আমাদের সারা বছরের মোট চাল উৎপাদনের প্রায় ৫৫ ভাগের যোগান দেয় বোরো ধান। সেজন্য, শুধু হাওর নয়, সারা দেশের ফসল সুষ্ঠুভাবে ঘরে তোলা জরুরি। আর এটি করতে পারলে বাংলাদেশের ধান উৎপাদনে তা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। একই সাথে, নিশ্চিত করবে খাদ্য নিরাপত্তা । কৃষি মন্ত্রণালয় এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ত্রাণ বিতরণ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনার এই দুর্যোগময় সময়ে মানবিক সহায়তা এবং ত্রাণের আওতার বাইরে কেউ নেই বলে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, সরকার সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সাধ্যমত চেষ্টা করছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাই সহায়তা পাবেন। আপনাদেরকে ধৈর্য্য ধরে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। এই সরকার জনবান্ধব ও গণমুখী । সরকার সবসময় আপনাদের পাশে আছে।
করোনা থেকে নিরাপদে থাকতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সুশৃঙ্খলভাবে মন্ত্রী ৩০০টি দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এছাড়াও মধুপুর উপজেলায় ২৫০০ দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এ সময় ধনবাড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা সিদ্দিকা, সার্কেল এএসপি কামরান হোসেনসহ উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

লেখক : সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী
গোপালপুর, টাঙ্গাইল।

Exit mobile version