আব্দুল মান্নান,হাবিপ্রবি থেকেঃ
হাবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত।
ব্যাপক উৎসাহ – উদ্দীপনা ও নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে শনিবার ১৭ই মার্চ ২০১৮ দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(হাবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টায় হাবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এরপর ক্রমান্বয়ে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন,শিক্ষক সমিতি, ডরমিটরিসমূহ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখা, প্রগতিশীল কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম উপস্থিত সবাইকে নিয়ে শহীদ মিনার চত্ত্বরে কেক কাটেন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশুদের জন্য আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ৷
এরপর তিনি বেলা ১০ টায় একাডেমিক ভবন -১ সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেন এ প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন পানির ফোয়ারা এবং বেলা সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ছাত্রদের জন্য ১৮ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৯০০০স্কয়ার মিটারের নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান হলের শুভ উদ্বোধন করেন ৷এবং সেখানে সংক্ষিপ্তাকারে একটি বক্তব্য প্রদান করেন ৷
এ সময় ভাইস চ্যান্সেল র প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বলেন,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বাঙালির স্বপদ্রষ্টা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম শুভবার্ষিকীতে তাঁর নামে নির্মিত হলের উদ্বোধন করতে পেরে আমরা অনেক গর্ববোধ করছি।
তিনি আরও বলেন,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরনে বর্তমান সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত একটি সমৃদ্ধ জাতি গড়ার পথে বাংলাদেশের তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা, শেখ হাসিনা জনহিতৈষী পদক্ষেপ, উন্নত রাষ্ট্রচিন্তা, স্থিতিশীল অর্থনীতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উজ্জীবিত করার মাধ্যমে দেশকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে ঐক্যবদ্ধভাবে আরও শক্তিশালী করার আহবান জানান তিনি।
পুনরায় তিনি শহীদ মিনার চত্ত্বরে ফিরে এসে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ৷ পুরস্কার বিতরণী শেষে বঙ্গবন্ধুর ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, হাবিপ্রবি শাখার আয়োজনে কেক কাটা ও রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন ৷ বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনা ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।