কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৯ ঃ আজ ২৬ মার্চ ২০১৯ তারিখ যথাযোগ্য মর্যাদা ও দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে মঙ্গলবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৯ উদযাপিত হয়েছে। সকাল ৯ টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম-এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীেেদর নিয়ে স্বাধীনতা দিবসের র্যালী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। সকাল সাড়ে ৯:৩০টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। ক্রমান্বয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার নেতৃবৃন্দ, কর্মচারিগণ,হাবিপ্রবি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের ২৬ মার্চের বাণী পাঠ ও বিতরণ করা হয়।
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম তার বাণীতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত ও পরিচালিত হয়েছিল। তিনি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ সম্ভ্রম হারা মা-বোনকে। কৃতজ্ঞতা জানান পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাসহ জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যাঁদের অশেষ ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। তিনি আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল একটি গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। যার মর্মকথা ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সব ধরনের অবিচার ও বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি। সে লক্ষ্য অর্জনে বর্তমানে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অদম্য গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উপগ্রহের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, পদ্মা সেতু, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দরসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ আধুনিক সুযোগ সুবিধা পেতে শুরু করেছে। শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি বিশ^ব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে”। তিনি এসকল সাফল্যের জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ উপলক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর একটি দেয়ালিকা উন্মোচন এবং শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
এরপরই শিক্ষক বনাম শিক্ষক, কর্মকর্তা বনাম কর্মকর্তা, কর্মচারী বনাম কর্মচারী, ছাত্র বনাম ছাত্রের মধ্যে প্রীতি ভলিবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষিকা বনাম শিক্ষিকা, ছাত্রী বনাম ছাত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় মিউজিক্যাল চেয়ার। শিশুদের জন্য বিস্কুট দৌড় এবং সকলের জন্য যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। খেলাধুলা শেষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। বাদ যোহর শহীদদের বিদেহী আতœার মাগফেরাত কমনা করে কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।