নাহিদ বিন রফিক, বরিশাল:
চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে ঃঅতিরিক্ত ২০ লাখ মেট্রিক টন চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের ১ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে স্থানীয় জাতের ধান চাষ হয়। এসব জমিতে উফশী জাতের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলেই তা সম্ভব। কেননা, স্থানীয় জাতের উৎপাদন হেক্টরপ্রতি ১ দশমিক ৭ মেট্রিক টন, অথচ সমবৈশিষ্ট্যের ব্রি-ধান৭৬ এবং ব্রি-ধান৭৭’র গড় ফলন ৩ দশমিক ২ মেট্রিক টন। গত ০২ মার্চ পটুয়াখালীর খামারবাড়িস্থ ডিএই সম্মেলনকক্ষে চলমান বোরো মৌসুম উপলক্ষে কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সচিব জনাব মো. নাসিরুজ্জামান এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মতে আমাদের দৈনিক গড়ে ৩ শ’ গ্রাম শাকসবজি খাওয়া দরকার। খাবারের পুষ্টি এবং গুণাগুণ বজায় রাখতে প্রয়োজন নিরাপদ সবজি উৎপাদন। সম্মিলিত চেষ্টায় কীটনাশকের ব্যবহার নিমূল না হলেও আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। তিনি ভুট্টার উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উপপরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএইর অতিরিক্ত পরিচালক মো. আরশেদ আলী। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (বিএআরআই) ড. মো. শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (বারটান) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জামাল হোসেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. বাবুল আক্তার, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. নিয়াজ মোর্শেদ, সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার সনজীব মৃধা, কলাপাড়ার উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মান্নান, দশমিনার উপজেলা কৃষি অফিসার বনি আমিন খান, বাউফলের উপজেলা কৃষি অফিসার অপূর্ব লাল সরকার, স্থানীয় পৌর কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পটুয়াখালী সদরের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মার্জিন আরা মুক্তা। মতবিনিময় সভায় জনপ্রতিনিধিসহ ডিএই, ব্রি, বিএডিসি, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বিএআরআই, বিনা, বিএসআরআই এবং বারটানের ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
#