বাকৃবি প্রতিনিধি :
অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাখান ঃসম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের সময় শিক্ষকদের প্রতিনিধি না রাখা ও শিক্ষকদের মান কমিয়ে দেয়ার অভিযোগ তুলে ওই নীতিমালা প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিন্ন নীতিমালায় শিক্ষকদের চাকুরি জীবনে সর্বোচ্চ ২ বার আপগ্রেডেশন করা যাবে এবং স্থায়ী পদ শূন্য না হলে আপগ্রেডেশন হবে না। এর ফলে অনেক শিক্ষকই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রফেসর হতে পারবেন না। অভিন্ন নীতিমালায় এম.এস ও পিএইচডির জন্য শিক্ষাছুটি সর্বমোট ৫ বছর করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পিএইচডিতে যদি কারও এর চেয়ে বেশি সময় দরকার হয় তখন
শিক্ষকের বেতন ভাতাদি আটকে থাকবে যা অত্যন্ত অমানবিক। এছাড়াও পোস্ট ডক্টরাল করার জন্য ২ বছর সময় লাগলেও তার সক্রিয় শিক্ষাকাল ১ বছরের ধরা হবে। এর ফলে অনেক শিক্ষকই পোস্টডক করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী মোট প্রফেসরের সর্বোচ্চ ২৫% গ্রেড-১ এ যেতে পারবেন। কিন্তু অভিন্ন নীতিমালায় তা ১৫% এ নামিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে এমনকি শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে যাওয়ারও কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।
এছাড়াও অভিন্ন নীতিমালায় লেকচারার নিয়োগ ও আপগ্রেডেশনের যোগ্যতার ক্ষেত্রে কৃষি বিশ^বিদ্যালয়গুলোর সাথে অন্যান্য বিশ^বিদ্যালয়গুলোর নানারকম পার্থক্য করা হয়েছে। এক কথায় অভিন্ন নীতিমালার কথা বলা হলেও এতে ভিন্নতার ছাপ রয়েছে। এ ধরনের অসামঞ্জস্যতা থাকলে শিক্ষকবৃন্দ যোগ্য মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে যা দেশের শিক্ষাব্যাবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. মো: আবু হাদী নূর আলী খান বলেন, আমাদের সাথে আলোচনা না করেই এই নীতিমালা দেয়া হয়েছে। আমরা এই নীতিমালা প্রত্যাখান করছি। সেই সাথে অনতিবিলম্বে নীতিমালা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।