আখের প্রর্দশনী প্লট পরিদর্শন করলেন বিএসআরআই’র মহাপরিচালক

আখের প্রর্দশনী প্লট পরিদর্শন

আখের প্রর্দশনী প্লট পরিদর্শন
মো. মোশারফ হোসেন :

আখের প্রর্দশনী প্লট পরিদর্শন :জামালপুর উপকেন্দ্রসহ বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত আখের প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই)’র মহাপরিচালক ড. মো. আমজাদ হোসেন। বিএসআরআই-এর জামালপুর উপকেন্দ্রসহ শেরপুর জেলার নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা এবং ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত আখের প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করেন তিনি।

সম্প্রতি (২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার) আখের প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন কালে তাঁরা সাথে বিএসআরআই’র জামালপুর উপকেন্দ্রের ইনচার্জ উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খন্দকার মহিউল আলমসহ বিভিন্ন স্তরের কৃষি কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। পরে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় আখের প্রদর্শনী প্লটের সাথে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কৃষকদের নিরলস কাজের প্রতি সন্তোষ প্রকাশসহ সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিএসআরআই’র মহাপরিচালক ড. মো. আমজাদ হোসেন।

বিএসআরআই’র জামালপুর উপকেন্দ্রের ইনচার্জ উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খন্দকার মহিউল আলম জানান, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) জামালপুর উপকেন্দ্রের আওতায় বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের মাঝে ৩১টি প্লটে ৩১বিঘা জমিতে আখের প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হয়েছে। এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় ব্যাপক সফলতা পাওয়া গেছে বলে জানান, সংশ্লিষ্ট কৃষক ও বিএসআরআই’র কর্মকর্তাগন। দেশের সব উঁচু ও মাঝারি উঁচু এবং অনাবাদি জমিতে আখ চাষ বাড়াতে পারলে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে অধিক লাভবান হবেন। পাশাপাশি কৃষি অর্থনীতি সমবৃদ্ধ হবে বলে মনে করছেন ইক্ষু ও কৃষি গবেষকরা।

উল্লেখ্য যে, চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, জামালপুর উপকেন্দ্রের আওতায় ৩১ বিঘা জমিতে প্লট আকারে অধিক উৎপাদনশীল জাতের আখ চাষ করা হয়েছে। তারমধ্যে শেরপুরের নকলা উপজেলায় ৫টি এবং নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২টি প্লটে প্রদর্শনীর মাধ্যমে আখ চাষকরে ব্যাপক সফলতা পাওয়া গেছে। ফলন দেখে অনেকেই মনে করছেন, সমতল এবং উঁচু ও মাঝারী উঁচু জমির অন্য আবাদের চেয়ে আখ চাষে লাভ বেশি।

নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীর জানান, এবছর নকলা উপজেলায় বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) জামালপুর উপকেন্দ্রের আওতায় কৃষকদের মাঝে ৫টি প্লটে ১৬৫ শতাংশ জমিতে প্রদর্শনী প্লটে আখ চাষ ছাড়াও, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় আরও ৯৯০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। আর জেলায় মোট ৩০ হাজার ৫২৫ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রতি ৩৩ শতাংশ জমিতে ১১টন থেকে ১২ টন করে আখ উৎপাদন হয়। এবছর জেলায় ৫ হাজার মেট্রিকটন আখ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। যা গেল বছরের তুলনায় দ্বিগুনের চেয়েও বেশি। চিবিয়ে খাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন হাট বাজারে আখ উঠা শুরু হয়েছে। সরজমিনে দেখা গেছে, প্রতিমন আখ ৮৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা করে পাইকারী বিক্রি করা হচ্ছে। আর প্রতিটি আখ আকার অনুযায়ী খুচরা হিসেবে ১৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। এতে করে বিভিন্ন এলাকার অল্প পুঁজির অনেকেই খুচরা আখ ও আখের রস বিক্রি করে বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন।

এদেশে আখের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে পারলে চিনি আমদানীর পরিমাণ অনেক কমে আসবে। তাতে চিনি আমদানী বাবদ কোটি কোটি টাকা বিদেশে যাওয়া কমবে, পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থান। এমনটাই আশা ব্যক্ত করেন বিএসআরআই ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ কৃষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *