ড. কে, এম, খালেকুজ্জামান:
আদা বহুবর্ষজীবি উদ্ভিদ। ইহার বৈজ্ঞানিক নাম তরহমরনবৎ ড়ভভরপরহধষব। আদা সাধারনতঃ মসলা ও পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ৫০০০ বছর পুর্বে থেকে আদা ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইহাতে প্রায় ৫০ ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান। আদার অনেক ঔষধি গুন আছে যাহা নিম্নে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আদা হতে ঔষধি গুন পেতে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫-২০ গ্রাম কাঁচা আদা চিবিয়ে বা ছেঁচে খেতে হবে। চিবিয়ে পানি দিয়ে গিলে খাওয়া যায় আবার ভাতের সাথে মিশিয়েও চিবিয়ে খাওয়া যায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষনযোগ্য কাঁচা আদায় নিম্নলিখিত উপাদান সমুহ বিদ্যমান:
পানি : ৭৫.০০ গ্রাম
শক্তি : ৮০ কি.ক্যালরি
প্রোটিন : ১.৮২ গ্রাম
ফ্যাট : ০.৭৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট : ১৭.৭৭ গ্রাম
আঁশ : ২.০০ গ্রাম
চিনি : ১.৭০ গ্রাম
ক্যালসিয়াম : ১৬.০০ মিলিগ্রাম আয়রন : ০.৬০ মিলিগ্রাম
ম্য্যগনেসিয়াম : ৪৩.০০ মিলিগ্রাম
ফসফরাস : ৩৪.০০ মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম : ৪১৫.০০ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম : ১৩.০০ মিলিগ্রাম
জিংক : ০.৩৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি : ৫.০০ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৬ : ০.১৬ মিলিগ্রাম
প্রতিদিন নিয়মিত কমপক্ষে ১৫-২০ গ্রাম কাঁচা আদা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায় যার কিছু নিম্নে বর্ণনা করা হল:
১. আদায় ”জিনজেরল” নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ আছে যাহা অ্যাসপিরিনের মত কাজ করে, ফলে হার্ট এ্যাটাক প্রতিরোধ হয়।
২. হার্টে ব্লক হতে দেয় না।
৩. মেজাজ ভাল রাখে যা দুশ্চিন্তা কমায়।
৪. রক্ত পাতলা করে তাতে রক্ত চলাচল সহজ হয়।
৫. রক্ত পরিষ্কার করে।
৬. ব্লাড পেসার/হাইপারটেনশন কমায়।
৭. রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।
৮. লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
৯. ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রন করে।
১০. কিডনী ভাল রাখে।
১১. প্রস্টেট ক্যান্সার, মলদ্বারের ক্যান্সার, লাঞ্জ ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করে।
১২. এন্টিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে যাহা ডায়ারিয়া সারায়।
১৩. সেক্স বাড়ায়।
১৪. গ্যাষ্ট্রিক ভাল করে।
১৫. বমির ভাব দুর করে, এমন কি গর্ভবতী মহিলাদেরও।
১৬. জ্বর ও ঠান্ডা লাগা রোগে উপকারী।
১৭. আদা চা হুপিং কাশি ভাল করে।
১৮. মুখ ভাল রাখে ও হজমে সহায়তা করে।
১৯. মাসিকের ব্যথা ভাল করে ও নিয়মিত মাসিক নিশ্চিত করে।
২০. জয়েন্টের ব্যথা, বাত ব্যথা, মাথা ব্যথা (মাইগ্রেন) ও গলা ব্যথা দুর করে।
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম