Site icon

তিন দিন ব্যাপী ১০ম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো ও সেমিনার-২০১৭ অনুষ্ঠিত

কৃষিসংবাদ ডেস্কঃ

আজ ৪ মার্চ ২০১৭, শনিবার সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হল তিন দিনব্যাপী ১০ম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো ও সেমিনার-২০১৭। স্বাস্থ্যবান ও সমৃদ্ধ দেশ গড়া, অপুষ্টি ও বেকারত্ব দূর করা এবং সাশ্রয়ী মূল্যে সবার জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্য-সম্মত খাদ্য-ডিম ও মুরগির মাংসের যোগান নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে শেষ হয়েছে এবারের আয়োজন ঢালি। গত ০২ মার্চ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) তে শুরু হওয়া এ আসর উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রি মতিয়া চৌধুরি।

আজকের সমাপনী দিবসে বাংলাদেশের পোল্ট্রি প্রকৃয়াজাত পণ্য  আগামী ২০২০ সাল নাগাদ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ। আজ ১০ম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো ও সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, হালাল মার্কেটে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে এবং সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প। এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হলে প্রাথমিক পর্যায়ে বছরে অন্তত ৪ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। “প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রবেশ করতে হলে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। তাই সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।” আসন্ন বাজেটে ভুট্টাসহ পোল্ট্রি ফিডে ব্যবহৃত বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ আমদানিতে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি), সয়াবিনের ওপর থেকে ১০ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি, ঔষধের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক এবং ডিডিজিএস এর ওপর থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট তুলে নেয়ার অনুরোধ জানান জনাব খালেদ।
ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন এর বাংলাদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল হক বলেন, এবারের মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খামারি এবং উদ্যোক্তারা এসেছেন। যে পরিমাণ সাড়া পাওয়া গেছে তা অভূতপূর্ব। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষের মাঝেও পোল্ট্রি মেলাকে ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।  তিনি বলেন, এবারের মেলায় এমন কিছু নতুন প্রযুক্তির দেখা মিলেছে যা বাংলাদেশে পোল্ট্রি’র উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আমরা আশাবাদী।

এবারের পোল্ট্রি মেলার আহ্বায়ক মসিউর রহমানের মতে, সেমিনারে পোল্ট্রি রোগবালাই এবং চিকিৎসার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে যা পোল্ট্রি স্বাস্থ্যের উন্নয়নে খুবই সহায়ক হবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব পোল্ট্রি শিল্পেও পড়তে শুরু করেছে। কাজেই আগামীতে এ নিয়েও আমাদের কাজ করতে হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

তিন দিনব্যাপী মেলায় বেস্ট স্টল হিসেবে প্রথম পুরস্কার পায় এভন এনিম্যাল হেলথ। যুগ্মভাবে দ্বিতীয় পুরস্কার পায় চিকস্ এন্ড ফিডস্ ও রেনাটা লিমিটেড এবং তৃতীয় পুরস্কার পায় প্যারাগন গ্রুপ ও বেঙ্গল ওভারসীজ লিমিটেড।

উল্লেখ্য গতকাল শুক্রবার মেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। গতকাল সারাদিন এবং আজ ছুটির দিন হওয়ায় মেলা জুড়ে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। প্রতিদিন সকাল ৯.৩০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে মেলা এবং টেকনিক্যাল সেমিনার। সব কিছু মিলিয়ে এবারের পোল্ট্রি মেলা সব দিক দিয়ে সার্থক হয়েছে বলে সকলে আয়োজকরা অভিমত প্রকাশ করেন।

Exit mobile version