আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা জয়পুরহাটে এবারও আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে শতভাগ আলু তোলা শেষ হয়েছে। ফলে বাজারে আমদানিও বেড়েছে। বর্তমানে দেশের সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে ৫টি দেশে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত বছর মৌসুমের শুরুতে দাম না পেলেও পরবর্তীতে আলুর ভালো দাম পাওয়ায় আশান্বিত হয়ে ওঠেন আলু উত্পাদনে বৃহত্তম জয়পুরহাট জেলার কৃষক। ফলে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে অধিক লাভের আশায় এবার অধিক হারে আলু চাষে ঝাপিয়ে পড়েন জেলার আলু চাষিরা। জেলায় এবার আলুর চাষ হয়েছে ৪০ হাজার ৭শ’ ১০ হেক্টর জমিতে। এবার বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ মণ ফলন পেয়েছেন বলে জানান কালাই উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের আলু চাষি আজাদ হোসেন। তিনি এবার ১ একর ১৬ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করে লাভবান হয়েছেন বলে জানান। বর্তমানে প্রকারভেদে আলু প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। বাজারে বর্তমানে আলুতে ভরে গেছে। আমন ধানে লোকসান হলেও আলুর দাম ভালো পেয়ে কৃষকরা খুশি। পাইকারী ক্রেতা হানিফ জানান, প্রতি হাটে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক আলু কেনা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় উত্পাদিত ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, গ্যানোলা ও এস্টোরিক জাতের আলু দেশের সীমানা পেরিয়ে বর্তমানে ৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশগুলো হচ্ছে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। বিগত তিন বছর ধরে আলু রপ্তানি হচ্ছে বলে জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এজেডএম সাব্বির ইবনে জাহান জানান, ৪০ হাজার ৭শ’ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এবার জয়পুরহাটে ৪০ হাজার ৭শ’ ১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। যা অতীতের রেকর্ড ভঙ করেছে।ইত্তেফাক।।
কৃষির আরো খবরাখবর জানতে আমাদের পেইজে লাইকদিনঃ facebook.com/krishisongbad.com