আল আমিন মন্ডল, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
পেঁয়াজের বাম্পার ফলনে ঃ সফল পিয়াজ চাষী জাহানুর ইসলাম জীবন। সে এই প্রথম পেঁয়াজ চাষ করেছেন বাংলাদেশের প্রথম উদ্ভাবিত লাল তীর সীড লিঃ হাইব্রিড পেঁয়াজ বীজ দিয়ে। যাহা বাংলাদেশের প্রথম গবেষনা ভিত্তিক বীজ কোম্পানী লাল তীর সীড লিমিটেডের উদ্ভাবিত নতুন জাত। জাহানুর পেঁয়াজের মাঠ দেখতে শতশত চাষী এখন তার ক্ষেতে ভীড় জমাচ্ছেন। পেঁয়াজের এতো ফলন বাংলাদেশে এবারেই প্রথম। সফল চাষী নিকট পেঁয়াজ চাষ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, লাল তীর হাইব্রিড পেঁয়াজের ফলন হয়েছে প্রতি শতাংশে ১০৫ থেকে ১১০কেজি। যা স্থানীয় জাতের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন এবং প্রতিটি পেঁয়াজের আকার প্রায় সমান ও এক গোট বিশিষ্ট।
ফলে এ মৌসুমে উত্তরাঞ্চল’সহ রংপুর ও বগুড়া জেলায় লাল তীর হাইব্রীড পেঁয়াজের বাম্পার ফলনে ভরে গেছে কৃষকের উঠান। ফলে কৃষক পরিবারের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। এমনকি চাষী জাহানুর ইসলাম জীবনের গ্রামের কৃষকদের নিয়ে সে এলাকায় রংপুর বদরগঞ্জ নাগেরহাটের কুতুবপুরে গতকাল বিকালে লাল তীর সীড লিঃ হাইব্রিড পেঁয়াজ প্রদর্শনী ও কৃষক মাঠ দিবস পালিত হয়েছে। মাঠ দিবসে আলোচনা সভায় এসএপিপিও কনক চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশের বীজ অঙ্গনে লাল তীর হলো কৃষকের আস্থার প্রতীক। এই কোম্পানী সকল বীজই উৎকৃষ্ঠ মানের। লাল তীর সীড লিঃ ডিভিশনাল ম্যানেজার (বগুড়া) মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, লাল তীর কোম্পানী এ পেঁয়াজ উফশী পেঁয়াজের মতোই ঝাঁঝালো ও সুস্বাদু এবং বারো মাস সংরক্ষনযোগ্য।
রিজিওনাল ম্যানেজার হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, যদি আমাদের দেশের সকল পেঁয়াজ চাষী লাল তীর এই হাইব্রিড পেঁয়াজ বীজ চাষ করতেন তাহলে এটাই হবে স্লোগান ‘আর নয় পেঁয়াজ আমদানী, শুরু হবে পেঁয়াজ রপ্তানী’। মাট দিবসে আরো উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক কাউন্সিলর (সাবেক) আব্দুল কাদের, বীজ ডিলার মঞ্জুরুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেন রাখু, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এবং কোম্পানী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান চৌধুরী, মেহেদী হাসান খান, নজরুল ইসলাম ও জয়া রানী প্রমূখ।