আবদুল আউয়াল মিয়া শেখ, বাকৃবি প্রতিনিধি:
এক পরিচ্ছন্ন মানবের কথা
আমরা করব জয় একদিন। উন্নত বিশ্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য তাদের পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। আমাদের দেশকে উন্নত করতে আসুন গড়ে তুলি ‘পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ’। সে উদ্দেশ্য আমাদের হাতের আবর্জনাটি যততত্র না ফেলে সম্ভব হলে নিজের ব্যাগে বা পকেটে রাখি অথবা অবশ্যই নির্দিষ্ট স্থানে ফেলি। এমন পোস্টার হাতে পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছেন গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম তিতাস। পায়ে হেটে চার চাকার এক ট্রলিতে পোস্টার ও ফেস্টুন লাগিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচরণায় নেমেছেন তিতাস। যে কোন ছুটি বা সময় হাতে থাকলেই সকলের সচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছেন তিনি।
প্রচরণার অংশ হিসেবে তিতাস মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এসেছেন । প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা হলে তিনি তার মনের কথা ব্যক্ত করেন।
তিনি জানান, পরিচ্ছন্ন একটি দেশ গড়তে দেশের ছাত্রসমাজকেই সবার আগে সচেতন হতে হবে। দেশের সকল শিক্ষার্থীরা যদি পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন হন এবং অন্যকে এ ব্যাপরে সচেতন করেন, তাহলে একটি পরিচ্ছন্ন দেশ গড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতেই তিনি ২০১৩ সাল থেকে এ ব্যতিক্রমী উদ্দ্যেগটি গ্রহণ করেছেন বলে জানান।
নিজের খরচেই পোস্টার, ব্যানার-ফেস্টুন তৈরি করেন তিতাস। তিনি আরো বলেন, এ কাজে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেননি। তবে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ প্রচারাভিযানকে আরো বেগবান করবেন বলে আশা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য, আমিনুল ইসলাম তিতাস ১৯৭৪ সালে ঠাকুরগাঁও সদরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আব্দুল মজিদ ও আনছারা বেগম দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ থেকে ১৯৯৭ সালে অনার্স ও ১৯৯৯ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি। পরে ২৪তম বি.সি.এস. পরীক্ষায় (শিক্ষা) উত্তীর্ণ হয়ে গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজে গণিত বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তার স্ত্রী ড. উম্মে রায়হান ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক।স্ত্রীর উচ্চশিক্ষার সুযোগে জাপান গিয়েছিলেন তিতাস। জাপানকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন দেখে নিজের দেশকেও পরিচ্ছন্ন দেখার অঙ্গীকার করেন। আর তা বাস্তবায়নে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে একাই নেমেছেন রাস্তায়। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্টানে সচেতনতা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।