Site icon

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মশালার উদ্বোধন

কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেছেন, শিক্ষিত তরুণদের নিজেদের দক্ষতাকে শাণিত করতে হবে। দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারলে চাকরি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। তাছাড়া পরিবর্তিত বিশ্বে টিকে থাকার জন্য দক্ষতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩/০৯/২০১৮) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত “টেকনিকস ফর দ্য প্রিপারেশন অব প্লাস্টিনেটেড অর্গানস ফর দ্য এনাটমি মিউজিয়াম” শীর্ষক একটি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ২৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে উক্ত প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। আমি মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের সময় এই প্রকল্পের সফলতার হার ছিল ৪২ শতাংশ। বর্তমানে এই হার ৯২ শতাংশ।’

অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিভাসু’র প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ, প্রফেসর ড. আবুল কাসেম, প্রফেসর মো: আ: হালিম। প্রফেসর ড. লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন।

কর্মশালায় ৪টি টেকনিক্যাল সেশনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান আরও বলেন, যেকোন পরিকল্পনা প্রণয়নে বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণের সময় গুরুত্ব দিতে হবে আপনি বাংলাদেশকে কোথায় দেখতে চান? অন্যথায় এর লক্ষ্যচ্যুতি ঘটতে পারে। বর্তমান সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে যে অগ্রাধিকার দিয়েছে অতীতে তা কখনো দেখা যায়নি উল্লেখ করে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার ২০০ মিলিয়ন ডলারের আরও একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এটি বাস্তবায়নের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।

সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সরকার যে বরাদ্দ দিচ্ছে তা যথাযথভাবে ব্যয় করা হচ্ছে এবং এর সুফল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে।

Exit mobile version