Site icon

কম খরচে গোখাদ্য পিলেট বানানোর কৌশল

pilet-1

 

শাহ এমরান,স্বপ্ন ডেইরী এন্ড ফিসারিজঃ

বাজারের বেশীদামী রেডিমেড খাবার না কিনে গো-খাদ্য পিলেট করে এবার নিজেই বানিয়ে খাওয়ান, খরচ-ঝামেলা সব কমে যাবে। দাম পড়বে প্রতি কেজি ১৮- ২৫ টাকার মধ্যে আর গুনগত মানও হবে অসাধারন। প্রতিদিন ভুট্টা সিদ্ধ দেয়া, ক্ষুদ সিদ্ধ দেয়া আসলেই অনেক ঝামেলা। শুধু তাই নয়, এর জন্য ২ জন কর্মচারী, আগুন জ্বালানোর লাকড়ী সহ অন্যান্য খরচের হিসাব তো আছেই। মাছের খাবার অনেক আগে থেকেই পিলেট আকারে আমরা ব্যবহার করে আসছি। এখন গো-খাদ্যের সময় এসেছে। যদিও আধুনিক বিশ্বে তা শুরু হয়েছে অনেক আগেই। যাইহোক, আমরা একটু দেরী করে হলেও ভালো কিছু অবশ্যই শুরু করতে চাই। আমাদের বড় বড় কোম্পানীগুলো বাজারে বিভিন্ন দামে এই পিলেট আকারের ফিড বাজারে বিক্রি করছে। এর সর্বনিম্ন দাম কেজি প্রতি ২৩ টাকা এবং সর্বোচ্চ দাম ৩৮ টাকা। একটু কস্ট করে এই খাবার যদি আমরা নিজেরাই পিলেট করে বানিয়ে নেই বর্তমান এই উচ্চ মূল্যের বাজারে দাম পড়বে সর্বোচ্চ কেজি প্রতি ২৫ টাকা, আর অফ সিজনে দাম পড়বে ১৭ টাকা। সামনে কুরবানী এজন্য খাবারের দাম অনেক বাড়তি, কিন্তু আর কিছুদিন পরই আবার এর দাম কমে যাবে।

নিম্নে যে খাবারের ম্যানু দেয়া হলো তাতে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালোরী, ফ্যাট হিসাব করা হলে যে পরিমান পাওয়া যাবে আমার মনে হয় তা যথেস্ট এবং অধিক গুনগত মানসম্পন্ন। বর্তমান দাম বিবেচনায় এনে ১১২৫ কেজি বা ১.১ টন খাবারের ম্যানুসহ কিছু উদাহারন দেয়া হলোঃ (বর্তমান উচ্চমূল্যে প্রতি কেজি পড়বে ২০ টাকা/১১২৫ কেজিঃ) ভুষি ২০০@২৮ টাকা, রাইস ব্রান ১৫০@২২ টাকা, তুলার বীজ ২০০@৬টাকা, ভুট্টা ২৫০@২১ টাকা, আটা ১২৫@১৮ টাকা, সরিষার খৈল ১০০@৩২ টাকা, ডিসিপি/ক্যালসিয়াম ১০০@৮০ টাকা। মেশিনে বানানোর খরচ আসবে প্রতি টনে ১৫০০ টাকা। মোট খরচ হিসাব করলে দেখা যাবে প্রতি কেজি দাম আসবে ২০ টাকা বর্তমান এই উচ্চ মূল্যের বাজারে। তুলা বীজ সব জায়গাতে পাওয়া যায়না, সে ক্ষেত্রে সয়াবিন খাওয়াতে পারেন অন্যান্য খাদ্য উপাদান কিছুটা কম বেশী করে কারন সয়াবিনের দাম বেশী। সেক্ষেত্রে সয়াবিন যদি ১০০ কেজি ব্যবহার করা যায় ২০০ কেজি তুলা বীজের পরিবর্তে তাহলে প্রতি কেজি খাদ্যের দাম আসবে ২৬ টাকা।সয়াবিন এবং তুলাবীজে প্রোটিন প্রায় সমান।তাই একটা আরেকটার পরিপুরক হতে পারে। অন্যদিকে আটা বা ডিওবি ব্যবহার করতে হবে কিছুটা না হলে খাবারটাকে পিলেট আকারে করা সহজ হবেনা।

(সাধারনত অফ সিজনে প্রতি কেজি পড়বে ১৮ টাকা/১১২৫ কেজিঃ ) ভুষি ২০০@২২ টাকা, রাইস ব্রান ১৫০@১৮ টাকা, তুলার বীজ ২০০@৬টাকা, ভুট্টা ২৫০@১৬ টাকা, আটা ১২৫@১৮ টাকা, সরিষার খৈল ১০০@৩২ টাকা, ডিসিপি/ক্যালসিয়াম ১০০@৮০ টাকা। মেশিনে বানানোর খরচ আসবে প্রতি টনে ১৫০০ টাকা। মোট খরচ হিসাব করলে দেখা যাবে প্রতি কেজি দাম আসবে ১৮ টাকা অফ সিজনে। ঈদের পর পরই এমন দামে খাবার বানানো যাবে। তুলা বীজ সব জায়গাতে পাওয়া যায়না, সে ক্ষেত্রে সয়াবিন খাওয়াতে পারেন অন্যান্য খাদ্য উপাদান কিছুটা কম বেশী করে কারন সয়াবিনের দাম বেশী। সেক্ষেত্রে সয়াবিন যদি ১০০ কেজি ব্যবহার করা যায় ২০০ কেজি তুলা বীজের পরিবর্তে তাহলে প্রতি কেজি খাদ্যের দাম আসবে ২৩ টাকা।টাকা।সয়াবিন এবং তুলাবীজে প্রোটিন প্রায় সমান। তাই একটা আরেকটার পরিপুরক হতে পারে।অন্যদিকে আটা বা ডিওবি ব্যবহার করতে হবে কিছুটা না হলে খাবারটাকে পিলেট আকারে করা সহজ হবেনা।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভুট্টাতো আমরা অনেকেই সিদ্ধ করে খাওয়াই না হলে হজমে সমস্যা হয় অনেক সময়। এই মেশিনে কি সিদ্ধ করা হয়? উত্তর হা, পিলেট করার মেশিনে সব খাদ্য উপাদানগুলোকে মিশ্রন করে স্টিম বা গরম ভাপ দেয়া হয় যেন খাবার উপাদানগুলো খাবার উপযোগী হয়, সহজে হজম হয়। নিউট্রোসনিস্টরা কিন্তু খাবার কে সিদ্ধ করা খাওয়ানোর পরামর্শই দিয়ে থাকনে। উপরে উল্লেখিত খাদ্য উপাদান গুলো ছাড়াও অনেকে অনেক রকমের ডালের ভুষি দিয়ে থাকনে। দুধের গরুকে সরিষার খৈলের পরিবর্তে তিলের খৈল দিলে আরো ভালো হবে। এভাবে যে যার মতন করে খাবারের উপাদান পরিবর্তন করে আরো ভালো মানের করে নিতে পারেন। ফিড মিলে সব জায়গাতে নেই। প্রয়োজনে একটু দূর থেকে বানিয়ে নিবেন পাড়ায় পাড়ায় খামারী ভাইরা একত্র হয়ে, এতে খরচ কম পড়বে। আমরা এবং সকল ক্রেতারা চাই, গুনগত খাবারের নিশ্চয়তা এবং তা কম মুল্যে। বাজারের প্যাকেটজাত খাবারের দাম একেতো বেশী, অন্যদিকে কি কি উপাদান দিয়ে বানানো তা আমরা জানিনা। তাতে কোন গ্রোথ হরমোন ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তাও জানিনা। তাই ভাল জিনিস ক্রেতাদের হাতে তুলে দিয়ে এই সমাজ, দেশ, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মদের জন্য সুন্দর জীবন নিশ্চিত করা একজন খামার ব্যবসায়ীর ও নৈতিক দায়িত্ব। আমরা পারবো, আমাদের পারতেই হবে ইনশা-আল্লাহ।

আরো খবর পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম https://web.facebook.com/krishisongbad/

Exit mobile version