জাকির হোসেন কবির : পঞ্চগড় জেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ। সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে কোথাও তেমন কাউন চাষাবাদ চোখে পড়েনি। কেউ কেউ সখের বসে ৫/১০ শতক জমিতে কাউন চাষ করেছেন।
বেংহারী ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের চাষি তারা মিয়ার সঙ্গে কথা হয়। তিনি ৮ শতক জমিতে কাউন চাষ করেছেন। বর্তমানে কাউনের শীষ বের হয়েছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে কাউন ক্ষেত থেকে ঘরে তুলবেন। আরো কয়েকজন কৃষক সখের বসে অল্প জমিতে কাউন আবাদ করেছেন।
অনেক কৃষক জানান, কাউন চাষ আমাদের আর করতে হয় না। এখন ভুট্টা আর বাদাম চাষাবাদ বেশি হচ্ছে। তারা জানান, এখন কাউন আবাদ করতে কৃষকরা আর আগ্রহী নয়। এমন এক সময় ছিল অনেক মানুষ কাউনের ভাত খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। এই তো ১০/১৫ বছর আগে আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে অনেকে কাউনের ভাত খেয়ে দিনাতিপাত করেছে। কাউনের আবাদ না করার কারণ হিসেবে তারা জানান, বাজারে কাউনের দাম কম। দাম কম হওয়ার কারণে কৃষকরা লাভবান হতে পারছেন না কাউন চাষ করে। এজন্য অনেক কৃষক কাউন চাষ ছেড়ে দিয়েছেন। এখন উপজেলার প্রায় প্রত্যেক কৃষক বোরো ধান ব্যাপক হারে চাষাবাদ করছে। তাই কৃষকদের আর ভাতের অভাব দেখা যায় না। কাউন চাষ যে ভাবে হারিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমাদের নতুন প্রজন্ম পরবর্তীতে আর কাউন সম্পর্কে কিছু জানবে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ এনামুল হক জানান, কৃষি বিভাগ সব রকমের রবিশস্যের চাষাবাদ করতে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করে। বর্তমানে কাউনের চাল ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাউনের চালের পায়েস খেতে ভাল লাগে। কাউন চাষে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে এবং কাউন গাছ থেকে জমির ভাল সার তৈরী হয়। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের কৃষক কাউন চাষে দিন দিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। আমরা ৫০ হেক্টর জমিতে কাউন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে মর্মে কৃষি কর্মকর্তা বাসসকে জানান। বাসস।।