নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল):
কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
ফল দেয় পুষ্টি ও অর্থের নিশ্চয়তা। এজন্য প্রয়োজন চাষের বিশেষ সতর্কতা। মানসম্পন্ন জাত নির্বাচন, রোপণ দূরত্ব, সার ও সেচ ব্যবস্থাপনা, সে সাথে পরিচর্যা এবং রোগ-পোকা দমনের মাধ্যমে কাক্সিক্ষত ফলন পাওয়া সম্ভব। আর এগুলো দেখাতেই আপনাদের এখানে নিয়ে আসা। ৪ জুন পটুয়াখালীর লেবুখালিস্থ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে এক কৃষক মাঠদিবসে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ আলী এসব কথা বলেন।
‘উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ এবং চর এলাকায় উদ্যান ও মাঠফসলের প্রযুক্তি বিস্তার’ প্রকল্প আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ( ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল ওহাব, ড. মনোরঞ্জন ধর, প্রকল্প পরিচালক ড. মো. তাহের মাসুদ, ডিএই বরগুনার উপপরিচালক সাইনুর আজম খান, পটুয়াখালীর উপপরিচালক হৃদরেশ^র দত্ত, বরিশালের উপপরিচালক হরিদাস শিকারী, আঞ্চলিক অফিসের উপপরিচালক তুষার কান্তি সমদ্দার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম পরিচালক ড. একেএম মিজানুর রহমান প্রমুখ।
দক্ষিণাঞ্চলের উপযোগি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত আম, মাল্টা এবং ড্রাগনফলের চাষাবাদ প্রযুক্তির ওপর এ মাঠদিবসের আয়োজন। এ অঞ্চলে বারি আম-৩, বারি আম-৪ এবং বারি আম-৮ যথেষ্ঠ সম্ভাবনাময় ফল। গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের সাথে মাঠের ফলনের পার্থক্যজনিত বিষয়গুলো মাঠদিবসে চাষিদের প্রত্যক্ষ করানো হয়। এতে কৃষাণ-কৃষাণীসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।