কৃষি বাজার দরঃ অন্যতম প্রধান মশলা রসুনের দাম বেড়েই চলেছে

রসুনের দাম বেড়েই চলেছে

বাজার দরকৃষিসংবাদ ডেস্কঃ

পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রসুনের দর। গত দেড় মাস ধরে এ পণ্যটির দর ঊর্ধ্বমুখী। গত সপ্তাহে আবারও কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। একই সঙ্গে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগি। সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু কিছু মাছের দাম বেড়েছে। তবে দাম কমেছে সবজি ও মসুর ডালের। তাছাড়া চাল, চিনি, গরু ও খাসির মাংসসহ অনেক পণ্যের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি।

হাতিরপুল বাজারে কেনাকাটা করতে এসে রসুনের দাম শুনে অস্বস্থিতে পড়েছেন বেসরকারি কর্মকর্তা নুরুল আলম। তিনি বলেন, গত মাসের শুরুতে এক কেজি রসুন কিনেছেন ১২০ টাকায়। এ মাসের শুরুতে গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়ে তাকে ১৬৫ টাকা গুনতে হয়েছে। তবে আলুর দাম কমায় স্বস্থি প্রকাশ করেন তিনি। গত মাসে যে আলু কিনেছেন ৩৫ টাকায় গতকাল তা কিনেছেন ১২ টাকায়। তবে রসুনের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিত্যপণ্য এত বেশি চড়া দামে কেনাকাটা করা দুরূহ। তাছাড়া এক পণ্যের দাম কমলে প্রতি সপ্তাহে অন্য পণ্যের দাম বাড়ছেই।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর-১ শাহআলী কাঁচাবাজার, হাতিরপুল, মগবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দেশি রসুন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা হয়েছে। তবে মানভেদে দামে কিছুটা তারতম্য রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুমের নতুন রসুন শিগগিরই বাজারে আসবে। নতুন রসুন এলে দাম কমে যাবে। এখন আমদানি কম হওয়ায় চাহিদার চেয়ে কিছুটা ঘাটতিতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দাম স্বাভাবিক রয়েছে। গতকাল প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২৫ থেকে ২৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলেন, শীতে নানা অনুষ্ঠান ও উৎসব বেড়ে যাওয়ায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে হঠাৎ বেড়েছে ডিমের দাম। গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি হালি ডিম ৩০ থেকে ৩২ টাকা ছিল। গত বৃহস্পতিবার থেকে তা ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে পাঁচ টাকা কমেছে আলুর দাম। এখন আলু ও টমেটো প্রতিকেজি ১২ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। প্রায় একই হারে কমে শালগম, শসা ও ক্ষিরা ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া কাঁচামরিচের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। শিম প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। বেগুন কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দীর্ঘদিন স্থিতিশীল থাকা মাছের দামে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা ও পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, এক থেকে দুই কেজি আকারের রুই ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। একই আকারের কাতল ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের দরে বিক্রি হওয়া সিলভারকার্প ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা ও চাষের কৈ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সমকাল।।

One thought on “কৃষি বাজার দরঃ অন্যতম প্রধান মশলা রসুনের দাম বেড়েই চলেছে

  1. চুই ঝাল এর দাম, চুই ঝাল দিয়ে গরুর মাংস রান্না, চুই ঝাল কোথায় পাওয়া যায় November 16, 2021 at 1:48 pm

    […] বেশি লাভ হওয়ায় এখানে লতা জাতীয় মসলার চাষ বাড়ছে। দীর্ঘ বছর ধরে যশোরে চুই ঝাল […]

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *