ক্যারি অন পদ্ধতি চালুর দাবীতে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

ক্যারি অন পদ্ধতি চালুর দাবীতে হাবিপ্রবি

ক্যারি অন পদ্ধতি চালুর দাবীতে হাবিপ্রবি

আব্দুল  মান্নান, হাবিপ্রবিঃ

ক্যারি অন পদ্ধতি চালুর দাবীতে হাবিপ্রবি

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা  ১২.৭.১৮ তারিখ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ড্রপ আউট পদ্ধতি বাতিল করে ক্যারি অন পদ্ধতি চালুকরণ সহ  চার দফা দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

তাঁরা নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরেন (১) কোন শিক্ষার্থী অসুস্থতজনিত কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলে বা তিনটির অধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও তাকে পরবর্তী সেমিস্টারে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হয়।(২) অকৃতকার্য বিষয়সমূহ শর্ট সেমিস্টারে অংশগ্রহণ করে পূরণ করার সুযোগ দেওয়া হয়। (৩) শর্ট সেমিস্টার বা মানোন্নোয়নের জন্য একজন শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে ইমপ্রুভ দিতে পারবে এবং ইমপ্রুভে যে যত মার্ক পাবে তাকে তত মার্ক দেয়া এবং(৪) চূড়ান্ত পরীক্ষার পর অনধিক এক মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে ।

আন্দোলনরত  শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কোর্স কারিকুলামে সংশোধনী আনতে চার কার্য দিবস সময় বেধে দিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। গতকাল বুধবার তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোন সমাধান না পেয়ে আমরা আজ আবারো আন্দোলন শুরু করে। যতদিন না আমাদের এই যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়া না হচ্ছে ততদিন  পর্যন্ত আমরা আমাদের এই আন্দোলন চালিয়ে যাব ।তারা আরও অভিযোগ করে বলেন,যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অসুস্থতা জনিত কারনে পরীক্ষায় অংশ না নিতে পারলে বা ৩টি বিষয়ে অকৃতকার্য হলে ক্যারি অনের সিস্টেম আছে সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেই সুবিধা থেকে কেন বঞ্চিত থাকবে?তাছাড়া আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ফলাফল প্রকাশ করতে অনেক দেরী করে যার কারনে একজন শিক্ষার্থীকে চাকরির সার্কুলার থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।আমরা  আশা করব প্রশাসন অনতিবিলম্বে আমাদের এই যৌক্তক দাবী গুলো মেনে নিয়ে আমাদের ক্লাস পরীক্ষায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিবেন ।

 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তারিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে তাঁরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আমাদের যে তথ্য উপাত্ত দিবে তার উপর ভিত্তি করে একাডেমিক কাউন্সিলে উত্তোলন করা হবে এবং সেটা  যদি যোক্তিক হয় এবং শিক্ষার্থীরা এটা চাচ্ছে সেহেতু  সেখানে আমাদের জোর সুপারিশ থাকবে ।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. সফিউল আলম বলেন, একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে  আর যেহেতু এটা অনেক দিন ধরে চলে আসছে তাই হঠাৎ করে পরিবর্তন করতে গেলে কিছু প্রক্রিয়া ও সময়ের দরকার আমাদের সে সময়টুকু তো দিতে হবে ।যদি সেসময়টুকু আমাদের না দিয়ে তাঁরা কর্মসূচি চালায় তাহলে সেটা তাদের বিষয় ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *