ইসলামিক কৃষি পদ্ধতি
মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম
ইসলামিক কৃষি পদ্ধতি ঃ করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে অনেকেই বিশ্বে সংকটময় সময় অতিবাহিত করছে। এ কারনে ধর্ম পরায়ণ ব্যাক্তিত্ব ও বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে করোনা থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করতে বলেছেন এবং খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি ক্ষেত্রকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছেন। আবাদযোগ্য কোন জমি যেন পতিত না থাকে এবং সব জমিতে যেন ফসল ফলান হয় সেদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ঠ সবাইকে তাগিদ দিয়েছেন। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ধান চাষে ইসলামিক পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখতে পারে যা পরিবেশ বান্ধব, সাশ্রয়ী ও অধিক ফলনশীল। অর্থাৎ মহাগ্রন্থ আল কোরআনের সুরা ইউসুফের ৪৭ নং আয়াত, সুরা আল বাকারার ২৬১ নং আয়াত এবং মহানবী মোহাম্মদ (সল্লাহুআলাহি ওছ্ছাল্লাম) এর গৃহপালীত গবাদি পশুর প্রসাব ব্যবহারের নির্দেশনা (সহীহ বুখারী ২৩৩ নং হাদিস) ব্যয় কমিয়ে অধিক ধান ফলনে অগ্রনী ভুমিকা রাখতে পারে।
শীস সহ শস্যকে বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে মহা গ্রন্থ আল কোরআনের সুরা ইউসুফের ৪৭ নং আয়াতে। এতে বীজ কে পোকা আক্রমন করেনা, বীজের আদ্রতা প্রাকৃতিকভাবে ভাল থাকে এবং গজায় শতভাগ। মায়ের গর্ভে ভবিষ্যতের শিশু যেমন নাড়ীর সাথে লেগে থাকে নিরাপদে, শীসসহ বীজ সেভাবেই নিরাপদে শীসের সাথে যুক্ত থাকে। পরিবেশ বান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত ভালবীজের কারনে ফলন অধিক হয়।
এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৃদ্ধ আধুনিক পরিক্ষাগারে শীসসহ ও শীস থেকে আলাদাকৃত ধান বীজ সংরক্ষন করে পরিক্ষাকরে দেখা গেছে শীস সহ বীজ ৮ মাস পরে উজ্জল রং ধারন করেছে কিন্তু শীস থেকে আলাদাকৃত বীজের রং বিনষ্ট হয়ে গেছে। শীস সহ বীজ পোকামাকরের আক্রমন থেকে রক্ষা পেয়েছে কিন্তু শীস থেকে আলাদাকৃত বীজ পোকা খেয়ে চাল বের করে ফেলেছে এবং বীজ খেয়ে খোসাকে পাউডার বানিয়ে ফেলেছে। বাজার থেকে আরও তিনটি নমুনা সংগ্রহ করে একাধিকবার পরিক্ষাকরে দেখা গেছে যে ৫টি নমুনা বীজের মধ্যে শীস সহ বীজের গজানোর হার শতভাগ যা বাকি চারটি নমুনার থেকে অনেক ভাল।
সুরা ইউসুফের ৪৬-৪৭নং আয়াত দ্বয়ের আলোকে ইউসুফ আলাইহিছ্ছালাম তৎকালীন মিশরের শাসনকর্তাকে শীস সহ সশ্য সংরক্ষনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। ৭ বছর উপর্যপুরি কোন ফসল হয়নি এবং শীসে রক্ষিত সশ্য কে ৮ম বছরে বীজ হিসেবে ব্যবহার করে বাম্পার ফলন পেয়েছিল মিশরবাসী। পোকামাকড় শস্যহানী করেনি এবং ভালমানের বীজের সঠিক সংরক্ষনের কারনে পরবর্তিতে অধিক ফলন হয়েছে যা সংকটকালীন ক্ষতিকে পুষিয়ে দিয়েছিল।
শস্যবীজ সংরক্ষনের এই পদ্ধতিতে কৃষকদের কোন আর্থিক খরচ নেই। শুধুমাত্র পরিমানমত ধানবীজ শীসের আগায় কেটে শুকিয়ে পলিথিন ব্যাগে আলোবাতাসময় জায়গায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এতে বিদ্যুৎ, হিমাগার, প্রক্রিয়াজাতকরন ইত্যাদি খরচ কমে যাবে। শতভাগ গজানোর কারনে বীজের অপচয় শুণ্যের কোটায় আসবে এবং পোকামাকরের হাত থেকে রক্ষা করতে ধানবীজে কীটনাশকও মেশাতে হবে না। পরিবেশ বান্ধব ইসলামিক এই পদ্ধতিতে ধান বীজ সংরক্ষন করলে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ।
গবেষনায় দেখা যায় শীসের আগা থেকে কেটে নিলে ১৩-১৪ দিনের মধ্যে ধান গাছ থেকে নতুন শীস গজায়। ধান গাছের গোড়ায় কাটলে নতুন গজান শীস খুবই ছোট হয় কিন্তু ধান গাছের আগা থেকে নতুন শীস বেশ লম্বা হয়। শুধুমাত্র গবাদি পশু থেকে ক্ষেতকে রক্ষা করতে পারলে কৃষকগণ একই মৌসুমে বিনা খরচে একটি নতুন ফলন পাবে। এবার তারা খড়ও পাবে ধানও পাবে। যদি সচ্ছল কৃষকগন ঐ ধান না গ্রহন করেন, গরীবমানুষগণ ঐ ধান সংগ্রহ করে উপকৃত হবেন। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে যদি কৃষকগণ ১ম ফসল ও ২য় ফসল (র্যাটন) গ্রহন করে ইনশাআল্লাহ।
সুরা ইউসুফের ৪৭নং আয়াতের প্রযুক্তিতে শীস সহ ধান বীজ সংরক্ষণ করে পরবর্তি মৌসুমে সুরা আল বাকারার ২৬১ নং আয়াতের আলোকে একটি চারা রোপন পদ্ধতি প্রযুক্তিতে সর্বাধিক ফলন পাওয়া সম্ভব। উক্ত আয়াতে একটি করে বীজ বা চারা রোপনের বিষয়ে নিদের্শনা রয়েছে। যদিও ‘সিংগেল সিডলিং’ অনেকেই জানে কিন্তু এর প্রয়োগ খুবই কম। এটি যে আলকোরআনে উল্লেখ রয়েছে তা অনেকেই সম্যক অবগত নন। উক্ত আয়াতটিতে স্ত্রীবাচক ও একবচন ব্যবহার করা হয়েছে। স্ত্রী লিঙ্গ প্রজননের একটি ক্ষেত্র তাই একটি চারা পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ ফলন হয়। চারার অপচয় ৪-৫ গুন কমে যায়, সার-পানির খরচ হয় কাম্যস্তরের এবং একটি চারা পরিমানমত খাবার মাটি থেকে গ্রহন করে এবং নতুন চারা বেশি গজায়। এভাবে সর্বাধিক চারা গজায় এবং হিল অনেক শক্ত হয় যা বাতাসে হেলে পরেনা।
এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ধারাবাহিকভাবে গবেষণায় দেখেছে একটি চারা থেকে অধিক চারা ও অধিক ফলনের বিষয়টি। এ বছর (২০২০ সাল) বোরো মৌসুমের গবেষনায় শীস সহ রেখে দেয়া বীজের ১টি চারা থেকে ৬৩ টি পর্যন্ত চারা গাছ গজিয়েছে যা সাধারন বীজের চেয়ে সর্বোচ্চ। একটি চারা রোপন পদ্ধতিতে শীস লম্বা হয়, পাতান/চিটা খুবই কম হয় এবং ফলন হয় অধিক । পক্ষান্তরে অধিক চারা রোপন পদ্ধতিতে চারার অপচয়, কম কার্যকরী টিলার ও ছোট শীসের কারনে ফলন কমে যায়। আবার দূর্বল হিল (চারা গাছ গুলো) বাতাসে মাটিতে পড়ে গিয়ে ধানের ব্যাপক হানি সাধিত হয়।
ফসল হানীর অন্যতম একটি কারন হল পোকা মাকড়ের উপদ্রব। গবাদি পশুর প্রসাব প্রয়োগ করে কৃষকগন ধান ক্ষেতকে পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে পারেন। মহানবী মোহাম্মদ (সল্লহুআলাইহি ওছ্ছাল্লাম) গবাদি পশুর প্রসাব প্রয়োজনে ব্যবহারের নির্দেশনা প্রদান করেছেন (সহীহ বুখারী ২৩৩ নং হাদিস)। গরুর গোবর সার হিসেবে কৃষকগণ ব্যবহার করেন কিন্তু গরুর প্রসাব ব্যবহারের বিষয়টি অনেকের জানা নেই । এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করে দেখেছে যে গরুর প্রসাব সমপরিমান পানি মিশ্রিত করে জমিতে স্প্রে করে দিলে এ্যামোনিয়ার ঝাঝে ও উৎকট গন্ধে পোকামাকড় ধান গাছ ত্যাগ করে। ক্ষেতে পাখি বসার যথেষ্ট ব্যবস্থা করে দেয়ায় পাখি উড়ন্ত পোকামাকড় গুলো খেয়ে ফেলে। আবার গরুর প্রসাব তরল সার হিসেবেও কাজ করে। যেখানে পোকামাকড় দিনে দিনে কীটনাষক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে এবং বিষমিশ্রিত পোকা খেয়ে পাখি মারা যায়, কমে যায় তাদের প্রজনন ক্ষমতা, গরুর প্রসাব প্রয়োগের প্রাকৃতিক প্রযুক্তি পরিবেশের ক্ষতি থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। আবার কীটনাশকের ব্যবহার ধান চাষকে ব্যয়বহুল করছে কিন্তু সোনার বাংলার কৃষকগণ পরিবেশের ক্ষতি ও আর্থিক খরচ থেকে বেঁচে যাবে যদি গরুর প্রসাব পানি মিশিয়ে ধানি জমিতে স্প্রে করে।
গরুর প্রসাবে চারা গাছের জন্য কি পরিমানে উপকারী উৎপাদান রয়েছে তা নিয়ে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করছে। গরুর যে প্রসাব গবেষণার জমিতে প্রয়োগ করা হয়েছে তার নমুনা অত্র বিশবিদ্যালয়ের সমৃদ্ধ ল্যাবে পরীক্ষাধীন ।
ইসলাম আল্লাহর নিকট মনোনীত একটি বিধান ( আল ইমরান-১৯ )। সেটিকে পরিপূর্ণ জীবন বিধান বলা হয় । কৃষি ক্ষেত্রে ইসলামিক শিক্ষার প্রয়োগকে ইসলামিক কৃষি পদ্ধতি বলে। যেহেতু শীষ সহ বীজ সংরক্ষণ, একটি চারা রোপন পদ্ধতি ও গবাদি পশুর মূত্র ব্যবহার ইসলামী শরিয়ার উপাদান, এ জন্য এটিকে ধান চাষে ইসলামিক কৃষি পদ্ধতি বলা যায়। ২০১৬ সাল থেকে এই তিনটি প্রযুক্তি নিয়ে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ গবেষণা করছে। গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং একাধিক গবেষণা নিবন্ধ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণার অংশ বিশেষ বিভিন্ন সময়ে দেশের জাতির দৈনিক সমূহে যেমন দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ, দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক শেয়ার বীজ, দৈনিক শহর ও গ্রাম ও বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদপত্র সমূহে, স্থানীয় কমিউনিটি রেডিওতেও প্রচারিত হয়েছে। প্রান্তিক কৃষকদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ফলাফলটি পৌঁছে দেয়ার জন্য এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর গবেষকদল কাজ করে যাচ্ছে । এরই ধারাবাহিকতায়, এ বছর বোরো মৌসুমে ২০২০ সালে রাজশাহীর কাকন হাটের জনাব আব্দুর রহমান এরফান, নাটোরের চলনবিলের ভাগনাগর গ্রামের জনাব মোসলেম উদ্দিন ও কুড়িগ্রাম উলিপুরের দাড়ার পাড় গ্রামের জনাব মো: নুরুল হক শীষসহ ধান বীজ সংরক্ষণ , একটি চারা রোপন ও গরুর প্রসাব স্প্রে প্রযুক্তি গ্রহণ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ ।
ইসলাম অনুরাগী ব্যক্তিত্ব, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এবিএম রাশেদুল হাসান ধান চাষে ইসলামিক কৃষি পদ্ধতিটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদলকে তিনি সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় গবেষকদল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস আমনুরায় নিজস্ব জমিতে চলতি বোরো মৌসুম ২০২০ সালে শীষ সহ বীজের একটি চারা রোপন পদ্ধতি ও গরুর প্রসব ব্যবহার বিষয়ক গবেষণাটি চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার প্রযুুক্তি তিনটি ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় আশাব্যাঞ্জক ফলাফল পেয়েছে। এভাবে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এবিএম রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যএকটি টেকসই ব্যবস্থা উদ্ভাবনের নিমিত্তে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে । সূরা ইউসুফের ৪৭ নং আয়াতের আলোকে ইউসুফ আলাইহিস সালামের পরামর্শক্রমে তৎকালীন মিশরের শাসনকর্তা খাদ্য সংকট সমস্যা নিরসন করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। উক্ত আয়াতের আলোকে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ শীষসহ বিভিন্নজাতের ধানবীজের সমন্বয়ে একটি সীডব্যাংক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে । এরকম একটি ধানের সীডব্যাংক হতে পারে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য একটি চাবিকাঠি ইনশাআল্লাহ।
এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ একটি গবেষণাধর্মী আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা স্বল্প খরচে বিশ্বমানের উচ্চ শিক্ষা প্রদান করে যাচ্ছে । এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজেই উদ্বোধন করেছেন এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণনা তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজ থেকে বলে থাকেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তিক কৃষকদের জন্য যুগপোযোগী ও বাস্তবধর্মী ধান চাষে পরিবেশ বান্ধব, সাশ্রয়ী ও ইসলামিক যে কৃষি পদ্ধতি হাতে নিয়েছে তা কৃষকদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের ঈমানকেও বৃদ্ধি করবে । অর্থাৎ শীষসহ বীজ সংরক্ষণ বাড়িতে ৮ মাস এবং একটি চারা রোপন পদ্ধতি জমিতে ৪ মাস মোট ১২ মাস কৃষকদেরকে আল-কোরআনের আমলে ব্যস্ত রাখবে । মহানবী মোহাম্মদ ( সল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী গরুর প্রসাব ব্যবহার কৃষকদের রসূল (সল্লহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর প্রতি ঈমান ও ভালোবাসা বৃদ্ধি করবে ।
সূরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে আল-কোরআনকে সকল মানব জাতির পথনির্দেশ এবং সূরা আল আরাফের ১৫৮ নং আয়াতে মোহাম্মদ (সল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে সকল মানুষের জন্য রসূল (সল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মনোনীত করা হয়েছে । সুতরাং ধান চাষে ইসলামিক পদ্ধতি বা ইসলামিক ফার্মিং শুধু মুসলিম নয় বিশ্বের সকল মানুষ ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারবেন। পবিত্র আল-কোরআন নাজিলের রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের এই মহান রমজান মাসে কৃষকগণ শীষসহ বীজ সংরক্ষণ করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির প্রস্তুুতি নিতে পারেন। ধানগাছের আগাথেকে জন্মান নতুন ফলন (র্যাটন) গ্রহণ করতে পারেন। একটি করে চারা রোপন পদ্ধতি আগামী মৌসুম থেকে চর্চা করতে পারেন এবং জমিতে গরুর প্রসাব স্প্রে করতে পারেন। এই তিনটি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকগণ ধান চাষের খরচ কমিয়ে অধিক ফলন পাবেন ইনশাআল্লাহ ।
আল-কোরআনের ও হাদিসের আলোকে ধান চাষ পদ্ধতির মাধ্যমে সোনার বাংলাকে খাদ্য শস্যে ভরপুর করে দিয়ে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আল্লাহ বাংলাদেশকে ও বিশ্বকে সাহায্য করুন (আমিন)।
লেখকঃ এম. এস,সি (কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা) সুইডেন
প্রভাষক, মার্কেটিং
এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ।