গরুর কৃমি ও প্রতিকার
গরু মোটাতাজাকরণ কর্মসূচীর সফলতার প্রথম এবং প্রধান কাজটি হলো হাট থেকে গরু কিনার পর তা কৃমি মুক্তকরণ বা কৃমি বিনাশ করা। গরুকে কৃমিমুক্ত করতে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ করে,প্রয়োজনবোধে আলাদা আলাদাভাবে প্রতিটি গরুর গোবর দেখে গরুকে কৃমিনাশক মেডিসিন দিতে হবে।
∆কৃমি গবাদি পশুর শত্রু
=কৃমি এক ধরণের পরজীবী যা গরুর দেহে ভিতরের অংশে বাস করে খাদ্য পুষ্টি বা রক্ত খেয়ে ফেলে। ফলে গরু শুকিয়ে যায়।
=গরুকে যত পুষ্টিকর খাবারই দেওয়া হোক না কেন পেটে কৃমি থাকলে পশু মোটা হবে না।
= গরু অনেক ধরণের কৃমিতে আক্রান্ত হতে পারে।
=কৃমির ধরণ ও সংক্রমণের পরিমাণ জানার জন্য গোবর পরীক্ষা করলেই বুঝা যাবে।
∆গরুর কৃমি তিন প্রকারঃ
= গোল কৃমি
= ফিতা কৃমি
=কলিজা কৃমি
কৃমি গরুর পাকস্থলি,খাদ্যনালি,ফুসফুস এবং শরীরের আরও অনেক জায়গায় বাস করে দেহের পুষ্টি,রক্ত শোষণ করে বেঁচে থাকে এবং ডিম পাড়ে। এ ডিম গরুর গোবরের মাধ্যমে বাহির হয়ে আসে এবং ডিম দ্বারা ঘাস,খাদ্যর মাধ্যমে অন্য গরুতে সংক্রামিত হয়। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য দূর্বল, স্বাস্থহীন গরু কিনতে হয়। গরুর স্বাস্থহানির প্রধান কারণ হলো পুষ্টিহীনতা ও কৃমি।তাই ভালো খাবারের সাথে সাথে গরুকে কৃমি মুক্ত করা প্রথম কাজ।
∆কৃমিতে আকান্ত গরুর লক্ষণঃ
=গরুর স্বাস্থহানী
=শরীর দূর্বল হয়ে পরে
=খাবারে অনীহা
=শরীরের ওজন কমে যাওয়া
=রুক্ষ লোম বা পশম
=পাতলা পায়খানা
=বা কখনও কষা পায়খানা
বিভিন্ন ধরণের কৃমির মধ্যে কলিজা ও ফুসফুসের কৃমি ভয়ংকর।
∆ফুসফুস কৃমিতে আক্রান্ত গরুর লক্ষণঃ
=গরু ঘন ঘন কাশে
=শ্বাস দ্রুত করে
=শ্বাস গ্রহণে কষ্ট হওয়া
=শ্বাসে ঘড়ঘড় শব্দ করে
∆কলিজা কৃমিতে আকান্ত গরুর লক্ষণ
=খাদ্য গ্রহণে অনীহা
=দূর্বল হয়ে যাওয়া
=স্বাস্থহীন হয়ে পড়া
=অতি পাতলা পায়খানা
=কখনো কষা পায়খানা দেখা দেয়
=রুক্ষ, খসখসে পশম দেখা যায়
=শরীরের বিভিন্ন অংশে,পেটের নিচে,বুকে বিশেষ করে থুতনির নিচে পানি হলে বুঝতে হবে গরুটি কলিজা কৃমিতে আক্রান্ত হয়েছে।