আব্দুল মান্নান, হাবিপ্রবিঃ
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(হাবিপ্রবি) কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিভাগের তত্ত্বাবধানে জানুয়ারি-জুন ২০১৮ থিসিস সেমিস্টারে দিনাজপুর জেলার বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির পাশ্ববর্তী পরিবেশ, গ্রামীণ জীবন মান ও কৃষির উপর কয়লা খনির কিরুপ প্রভাব সে বিষয়ে আজ বেলা ১১ টায় কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ ল্যাবে একটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয় ।
এতে হাবিপ্রবির কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডঃ মোঃ শোয়াইবুর রহমান, প্রধান গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ডঃ মোঃ সফিকুল বারী ও বহিঃ পরীক্ষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মোঃ আবিয়ার রহমান এর উপস্থিতিতে মূল গবেষণা প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন হাবিপ্রবির কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিভাগের মাস্টার্স থিসিস সেমিস্টার এর সোমালিয়ান ছাত্র খাদার ইয়াছিন আদেন।
তিনি জানান, গবেষণা করে দেখা গেছে যেখানে কয়লা খনি আছে তার পাশ্ববর্তী নাগরিকদের আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে পাশ্ববর্তী কিছু জমি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশেষ করে অনেক কৃষি জমি ধংস হয়েছে ও কৃষির ফলন মারাত্মকভাবে কমে গেছে ।
কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মোঃ সফিকুল বারী বলেন,২০১৬ সালে আমাদের এখান থেকে ওমর আব্দুল্লাহ নামের ১ জন সোমালিয়ান ছাত্র এবং ২০১৭ সালে নাইজেরিয়ায় বশির নামের অপর এক ছাত্র আমাদের এই বিভাগ হতে সুনামের সহিত মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করে নিজ দেশে ফিরে গিয়ে যথাক্রমে অফিসার (কর্মকর্তা) ও প্রভাষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছেন । এছাড়াও এবছর ইথিওপিয়ার একজন ছাত্র এখানে গবেষণা করছেন।
উল্লেখ্য যে, উক্ত গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনায় হাবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া, কেনিয়া সহ বেশকিছু দেশের ১৮ জন শিক্ষার্থী ও মাস্টার্সে অধ্যয়নরত দেশীয় কিছু শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ।